শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
উত্তরা-গাজীপুর সড়ক

খবর প্রকাশের পর ভোগান্তি লাঘবে উদ্যোগ

হাসান ইমন

‘উত্তরা-গাজীপুর সড়ক যেন নরক’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের। সংস্থাটি বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভোগান্তি লাঘবে প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে।

খুব শিগগিরই এর প্রতিফলন ঘটবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী। গতকাল মোবাইলফোনে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি পত্রিকায় দেখার পর শুক্রবার প্রকল্প এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখেছি। যে অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে। এ অসঙ্গতিগুলো সমাধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্প এলাকায় জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনায় টিনের বেড়া নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। আর যেখানে কাজ চলে, সেখানে সড়ক ড্রাইভারশন করা এবং পথচারীদের নিরাপত্তায় ওপরে টিনের তৈরি শেড ও নিরাপত্তা বাহিনী অর্থাৎ আনসার রাখার কথা বলেছি, যেন মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, ঢাকা ও গাজীপুর এলাকার যানজট নিরসনে ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) অনুমোদন পায় ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর। তখন এ প্রজেক্টের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের শেষদিকে কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে ২০২২ সালেও এই কাজ সমাপ্ত হয়নি। গত ১০ বছরে প্রকল্প এগিয়েছে মাত্র ৮০ শতাংশ। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। চলতি বছরের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার সংশোধিত সময়কাল নির্ধারণ করা হলেও সেই সময় অতিবাহিত হয়েছে। এখনো ২০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। প্রকল্পটি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বাস্তবায়ন করছে। সার্বিক তদারকিতে রয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগ।

সর্বশেষ খবর