সফিক নামে একজনের থেকে সুদে ১ লাখ টাকা নিয়েছিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ফয়সাল আহমদ সৌরভ (৩০)। এ পর্যন্ত তিনি সুদ বাবদ পরিশোধ করেছেন ৩ লাখ টাকা। সুদ-আসলে আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিতে চাপ দিচ্ছিলেন সফিক। সেই সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সৌরভ। সৌরভ উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের পাতারি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে।
তিনি আত্মহত্যার জন্য রফিক ও সফিক নামে দুজনকে দায়ী করেছেন। আর এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। অভিযুক্ত সুদখোরদের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বালিজুরি ইউনিয়নের লোহাচুরা থেকে গাছের সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত সৌরভের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর এক ঘণ্টা আগে সৌরভ তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি গলায় দড়ি দিলাম তুই রফিকের লাগি। তুই আমারে কাবু করিয়া লাশ বানাইলি। তুই ভালো থাক বেইমান। সফিকের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা আনছিলাম সুদে। ৩ লাখ টাকা সুদ দিয়াও সাড়ে ৩ লাখ টাকা এখনো পায়। এই রফিক আর সফিকের লাগি আমি আত্মহত্যা করলাম। ভালো থাকো আমার পরিবার। মা, ফাইজা আমায় ক্ষমা করো। মা বাবা, ভাই বোন তোমরা ক্ষমা করিও। বউ তোমাকে কিছু বলার নাই। ইতি এক কাপুরুষ!!!’পরে এলাকাবাসী সৌরভের ঝুলন্ত দেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। তাকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ তরফদার জানান, ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।