দারুণ বল ঘোরাচ্ছেন পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খান। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির জন্য প্রার্থনা করছেন, যেন ভারতের এই ড্যাসিং ব্যাটার তিন অঙ্কের জাদুকরি একটি ইনিংস খেলেন। তবে সেটা নিশ্চিত করেই নিজেদের বিপক্ষে নয়। অন্য দলের বিপক্ষে যেন জ্বলে উঠেন কোহলি। শুধু শাদাব নন, কোহলি ছন্দে ফিরুক, এমনটা চাইছেন গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার কোহলি সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৯ সালে কলকাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। এরপর ৭১ ইনিংসে দেখা নেই সেঞ্চুরি। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত আজ খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এশিয়া কাপে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হবে টি-২০ এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের ম্যাচে। ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের অধিনায়ক ছন্দে থাকা বাবর আজম। সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপের পর দুই দলই ছন্দে রয়েছে। ক্রিকেট বিশ্বের পরিচিত দুই ‘পাওয়ার হাউজ’ ভারত ও পাকিস্তান। দুই দলের খেলা মানেই ক্রিকেট বিশ্বে সূক্ষ্ম বিভাজন। টি-২০ বিশ্বকাপে দুই দলের খেলার মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দুই দলের দর্শকের চাহিদা মেটাতে ৪ হাজার স্ট্যান্ডিং টিকিট ছাড়বে মেলবোর্ন কর্তৃপক্ষ। এতেই পরিস্কার ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কতটা উন্মাদনা কাজ করে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। এশিয়া কাপে দুই দলের আজকের ম্যাচ নিয়েও উন্মাদনার পারদ আকাশচুম্বি। আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ। আজ দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী পরস্পরের প্রতিপক্ষ। দুবাইয়ে দুই দল সর্বশেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছিল পরস্পরের বিপক্ষে। গত অক্টোবরে টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচে ভারতকে ১০ উইকেটের আকাশসমান ব্যবধানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। দুই দল এখন পর্যন্ত পরস্পরের বিপক্ষে ৯টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। ভারতের ৬ জয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় ২টি। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল। ‘টাই’ ম্যাচ বোল আউটে জিতে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। এশিয়া কাপে দুই দল একটি মাত্র টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। ২০১৬ সালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারত জিতেছিল ৫ উইকেটে। পাকিস্তানকে ৮৩ রানে গুটিয়ে ১৫.৫ ওভারেই তুলে নিয়েছিল জয়। টি-২০ বিশ্বকাপে দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে হেসেছিল পাকিস্তান। এরপর আর পরস্পরের মুখোমুখি হয়নি। তবে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত ২৮ ম্যাচে ২২টিতে জিতেছে। পাকিস্তান ১২ ম্যাচে জয় ১০টি।