শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাশিয়ার তেলে আপত্তি নেই যুক্তরাষ্ট্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়ার তেলে আপত্তি নেই যুক্তরাষ্ট্রের

রাশিয়া থেকে বাংলাদেশের জ্বালানি তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। গতকাল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় বিদ্যুতের সংকট আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি। তাই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করলে ওয়াশিংটনের আপত্তি থাকার কথা নয়। কাজেই আমি তার কথা ধরে বলছি, বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে আপত্তি থাকবে না। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কিছু কূটনৈতিক শিষ্টাচার (ডিপলোমেটিক নরমস) থাকে। কিন্তু সরলভাবে আমি যেটা বুঝি, একজন মন্ত্রী পর্যায়ে যখন এটা বলা হলো, তার একটি গুরুত্ব রয়েছে। জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজার এমন অস্থিতিশীল যে আগামীতে দেশে কবে কত টাকা দাম কমবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না। এ জন্য তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। রাশিয়া থেকে তেল এলেই রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটি মনে করি না। তিনি বলেন, এরই মধ্যে সাগরে তেল অনুসন্ধানে আমরা আগ্রহী কোম্পানিকে বলেছি। আন্তর্জাতিক তেলের বাজার জিওপলিটিক্সের সঙ্গে জড়িত। কুয়েত বাংলাদেশে তেল পরিশোধনাগার করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে কিন্তু এ জন্য আগে ক্রুড ওয়েলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

তৌফিক-ই-ইলাহী তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন, আমরা যদি জ্বালানি তেলের দাম না বাড়াই তাহলে বাজেট থেকে ভর্তুকি দিতে হয়। এই টাকা তো বাজেট থেকে দিতে হয়। এটা হলেও মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তিনি মনে করেন, দাম বাড়লে যে ভর্তুকি দিতে হবে তাতেও স্ফীতি বাড়বে।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, এখনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কিছু কাজ বাকি আছে। তবে চাইলে এখন ডেমোনস্ট্রেশন হিসেবে কেন্দ্রটির উদ্বোধন করা যেতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জ্বালানি সংকট সমাধানে দেশীয় জ্বালানির উৎপাদন বাড়াতে গত ৫ বছরে ৩৪টি কূপ খনন করা হয়। গত বছরই চারটি কূপ খনন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও জিওলজিক্যাল সীমাবদ্ধতা কাজ করছে। এ ছাড়া অফশোরে জ্বালানি অনুসন্ধানের জন্য ডিসেম্বর নাগাদ বাংলাদেশ বিডিং এ যেতে পারবে বলে তিনি জানান।

জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্থলভাগে বাপেক্স ছাড়া আর কাউকে অনুসন্ধান কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও ভোলায় এই বিধিনিষেধের মধ্যেই গ্যাজপ্রমকে কাজ দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে আইওসিকে কাজ দিচ্ছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি না।

সর্বশেষ খবর