যশোরের শার্শা উপজেলায় সোনা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়েছে। এতে এক চোরাকারবারি নিহত ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শার্শা উপজেলার জামতলায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ৩০টি সোনার বার জব্দ করেছে। এর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। নিহতের নাম ওলিয়ার রহমান। তিনি বেনাপোল পুটখালী গ্রামের দাউদ হোসেনের মেয়ের জামাই। সোনার বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- রবিন (৩৫) ও আবুল কাশেম (৩৫)। তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার পাঁচগাছিয়া গ্রামে। যশোরের নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাঁচ পুকুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন তৌহিদুর রহমান ও রনবীর। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভারতে সোনা পাচারের গোপন খবরে যশোর ডিবি পুলিশ ও শার্শা থানা পুলিশ যৌথভাবে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালায়। এ সময় সাতক্ষীরা থেকে যশোরমুখী একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার আসে। টহলদল তাদের থামার নির্দেশ দিলে প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিরা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে তাদের কাছে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করে। ওই সময় হাইওয়ের দুই পাশ থেকে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলে আসা প্রায় ৫০-৬০ যুবক পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালিয়ে প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তখন হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মোটরসাইকেলের পাশে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।আটক রবিনের দেহে তল্লাশি করে ৫ কেজি ২১৫ গ্রাম ওজনের ১৮টি সোনার বার পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রাইভেটকার তল্লাশি করে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা আরও ১২টি সোনার বার পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি সোনার বার, যার বাজারমূল্য আনুমানিক সাড়ে ৭ কোটি টাকা বলে জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় একটি মামলা হয়েছে। প্রাইভেটকার, ৩টি মোটরসাইকেল ও আসামিদের শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।