শিরোনাম
রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস?

প্রতিদিন ডেস্ক

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস?

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটের ফল আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা এর মাধ্যমে জানা যাবে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বরিস জনসনের উত্তরসূরি নির্বাচিত হতে পারেন। কনজারভেটিভ সদস্যদের অনলাইন ও ডাকের মাধ্যমে ভোটদান শেষ হয় শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায়। ২ লাখ কনজারভেটিভ সদস্যের ভোটদান শুরু হয় আগস্টের শুরু থেকে। উল্লেখ্য, কয়েকটি স্ক্যান্ডালের জেরে গত জুলাই মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সরকারি দলের আইন প্রণেতাদের ভোটে একটি সময় পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন তিন জন- ঋষি সুনাক, লিজ ট্রাস ও বর্তমান সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডাউন্ট। তবে মরডাউন্ট এই দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন, টিকে থাকেন ট্রাস ও সুনাক। দীর্ঘ দুই মাস চূড়ান্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেশজুড়ে এবং টেলিভিশনে বিতর্কের মাধ্যমে প্রচারণা চালান। নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে ট্রাস-সুনাক উভয়ই ভোটারদের আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লিজ ট্রাস বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে যুক্তরাজ্য থেকে লিঙ্গ বৈষম্য নির্মূল, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, কর ব্যবস্থার সংস্কার ও জনগণের জীবনমান বৃদ্ধির দিকে মনোযোগী হবেন। অন্যদিকে ঋষি সুনাক প্রাধান্য দিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেকারত্ব দূর করা ও জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর।

বিবিসি জানায়, কনসারভেটিভ পার্টির নিয়ম হচ্ছে, দলের নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য যারা প্রার্থী হন, তাদের মধ্য থেকে এমপিরা ভোট দিয়ে দুজনকে বাছাই করেন। এরপর এই দুজনকে যেতে হয় দলের রেজিস্টার্ড সাধারণ সদস্যদের কাছে। কনসারভেটিভ পার্টির তৃণমূলের এই চাঁদা দেওয়া সদস্যদের ভোটেই চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হন দলের নেতা। যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি সমর্থন লাভ করবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও এভাবেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী ও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের পদত্যাগের পর দলের এমপি ও সদস্যদের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন জনসন।

সর্বশেষ খবর