বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

১৫ দিন ধরে নিখোঁজ কুমিল্লার সাত শিক্ষার্থী

কুমিল্লা প্রতিনিধি

২৩ আগস্ট কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় কুমিল্লার সাত শিক্ষার্থী। যাওয়ার সময় তেমন টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন কিংবা পোশাক নেয়নি। আজও বাসায় ফিরে আসেনি তারা। নিখোঁজ হওয়া প্রত্যেকেই পরস্পরের পরিচিত। তাদের সবার বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজে পড়ে। ইতোমধ্যে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিভাবকরা জিডি করেছেন।

অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি কখনো তারা সন্তানদের আগ্রহ দেখেননি। কলেজ, কোচিংয়ের বাইরে যে সময় পেত বাসায় বসে বইপুস্তক কিংবা মোবাইল ফোনে সময় কাটাত। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজ নিজ সন্তানের কোনো শত্রুও নেই বলে অভিভাবকরা জানান।

নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমরান বিন রহমান (১৭), একই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সামি (১৮), কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম (১৮), একই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহাল (১৭), ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত (১৯), একই কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের আমিনুল ইসলাম আলামিন (২৩) ও ঢাকা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স কম্পিউটার সায়েন্স সম্পন্ন করা নিলয় (২৫)। কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে ইমরান বিন রহমান। সে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মুজিবুর রহমান তার ছেলে সম্পর্কে গতকাল বিকালে জানান, ছেলে পড়াশোনা, কলেজ, কোচিং সেন্টার আর মসজিদ ছাড়া কোথাও যায় না। ২৩ আগস্ট দুপুরে আমাকে বলে, আব্বু, আমি আজ কোচিং থেকে রেলস্টেশন মসজিদে তাবলিগের বয়ান শুনতে যাব। ফিরতে দেরি হবে আম্মুকে বলো না। ওই দিন রাতে বাসায় না ফেরার কারণে সারা রাত খোঁজাখুঁজি করি। পরদিন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করি। পরে র‌্যাব কুমিল্লাকে অবহিত করি। কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহালের বাবা সাইফুল ইসলামসহ অন্য অভিভাবকরাও প্রায় একই ধরনের কথা বলেন। এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের জিডি পেয়েছি। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। তারা দলবদ্ধভাবে কোথাও গেছে, নাকি অন্য কোনো বিষয় তা তদন্তের পর বলতে পারব। এ বিষয়ে র‌্যাব ১১ সিপিসি ২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আশা করি দ্রুতই অগ্রগতি জানাতে পারব।

 

সর্বশেষ খবর