প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের সবচেয়ে উদার দেশ হিসেবে বর্ণনা করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের এখানে অবকাঠামো, শিল্প-কারখানা, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা নীতি এবং ধারাবাহিক সংস্কার প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে। গতকাল নয়াদিল্লির হোটেল আইটিসি মৌর্যতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়িক ফোরামের বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের ৩০ জনের বেশি ব্যবসায়ী অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কম সময়ে, সাশ্রয়ী ব্যয় এবং স্বল্প সম্পদে উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয়ের নিশ্চয়তাসহ বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারেন। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভারসাম্য অনেকটাই ভারতের পক্ষে ছিল। বর্তমানে উন্নত উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে বাংলাদেশ ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত। তাই আমরা ভারতীয় আমদানিকারকদের বাংলাদেশি পণ্যগুলোর দিকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য আমন্ত্রণ জানাই, যেগুলো তারা দূরের দেশ থেকে উচ্চ মূল্যে আমদানি করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, বৃহত্তর লাভের জন্য, বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতাকে বাণিজ্যের বাইরে যেতে হবে। এতে বিনিয়োগ, অর্থ, পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তর অন্তর্ভুক্ত এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে স্থাপন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে এফডিআই প্রবাহের মোট পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৭০ দশমিক ৩৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ভারত থেকে এর অনুপাত ছিল ১৫ দশমিক ৭৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা এফডিআই প্রবাহের মাত্র শতকরা ১ দশমিক ১৫ ভাগ। তাই নিশ্চিতভাবেই দ্বিমুখী বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুবিধা অর্জনের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের মধ্যে আরও সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।