বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গোলাগুলি থামছেই না সীমান্তে

কক্সবাজার ও বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গতকাল সকাল থেকে আবার গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে। উভয়পক্ষের মধ্যে কত রাউন্ড গোলাগুলি হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে আকাশে মিয়ানমারের কোনো হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়নি। এপারের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তমব্রুর বাসিন্দা এনামুল হক ও রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হামজা বলেন, তারা ৭-১০টি গুলির শব্দ শুনেছেন।

ঘুমধুমের বাসিন্দা মো. নুর মোহাম্মদ জানান, এক মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় প্রতিদিনই কমবেশি গুলির আওয়াজ আসছে। ওপারে ভারী গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দে পুরো সীমান্ত এলাকা কেঁপে উঠছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের আওয়াজ বেড়েছে। সীমান্ত এলাকায় যেসব মাটির ঘর আছে, সেগুলো ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়েছে।  ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ওপারে গোলাগুলির শব্দ শুনলে এপারের সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের না হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকছে। এ কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ মন্দা যাচ্ছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি কোণারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিতদের মধ্যেও উৎকন্ঠা লক্ষ্য করা গেছে। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসকারী জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার পর্যন্ত টানা ২৩ দিন মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) তুমুল লড়াই চলে।

২৮ আগস্ট পরপর দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে সীমান্তের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায়। ৩ সেপ্টেম্বর আরও দুটি মর্টার শেল পড়ে বাইশপারি এলাকায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর