শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
হাসিনার ভারত সফরে পাননি আমন্ত্রণ

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মমতার

কলকাতা প্রতিনিধি

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মমতার

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ‘হাসিনাজি নিজে আমার সাথে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। অথচ আমি এই প্রথম দেখলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এলেন বাংলা বাদ।’

মমতা ব্যানার্জি বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতা করছিলেন। তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘এত রাগ কিসের? বড় লোকদের এত ভয়ের কী আছে? শিকাগো থেকে আমন্ত্রণ এসেছিল কিন্তু আটকে দিয়েছে, আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। দিল্লির স্টিফেন্স কলেজ থেকে আমন্ত্রণ এসেছিল, আটকে দিয়েছে, যেতে দেওয়া হয়নি। চীন থেকে আমন্ত্রণ এসেছিল, সেখানেও আটকে দেওয়া হয়েছে, যেতে দেওয়া হয়নি। মমতার মতে, ‘বাংলায় ঘুরলেই সারা বিশ্ব ভ্রমণ হয়ে যায়। বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’ এর আগে সকালে কলকাতার ধর্মতলায় ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ কদিন দিল্লিতে। কিন্তু আমাদের কাউকে তো বলেনি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার কথা।’ এর আগে ২০১৭ সালেও দিল্লি সফরে এসে মমতার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছিলেন হাসিনা। দুই নেত্রীর একান্ত বৈঠকে উঠে এসেছিল তিস্তা পানি বণ্টনসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বিষয়। শেষবার ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে ভারত বাংলাদশের মধ্যে ইডেনে অনুষ্ঠিত গোলাপি টেস্ট দেখতে কলকাতায় হাজির ছিলেন হাসিনা। সেবারও কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে মমতার সঙ্গে একান্তে কথা হয়েছিল হাসিনার। আসলে মমতা এবং শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত, দুই বোনের সম্পর্ক। তাদের মধ্যে বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে উপহার বিনিময় হয়।

সর্বশেষ খবর