সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

যুবসমাজ আমাদের অনেক বড় শক্তি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুবসমাজ আমাদের অনেক বড় শক্তি : প্রধানমন্ত্রী

দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে তরুণদের শিক্ষা-দীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুবসমাজ আমাদের অনেক বড় শক্তি। কাজেই আমাদের এই যুবসমাজই পারবে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে। গতকাল সকালে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এবার ১১ জনকে এই পুরস্কার দেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ীদের হাতে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ তুলে দেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তৃতা করেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে মাসুদ আলম ও মেঘনা খাতুন নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন। শেখ হাসিনার বিভিন্ন মানবিক কর্মকাে র ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি ও প্রদর্শিত হয়।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ সমাজ হচ্ছে একটা জাতির জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই সেই সমাজটা শিক্ষায়-দীক্ষায় সবদিক থেকে উচ্চমানের হবে আমি সেটাই চাই। এই দেশটা এগিয়ে যাবে, শত বাধা অতিক্রম করে। তিনি বলেন, আমাদের যুবসমাজ আমাদের বড় একটা শক্তি। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বয়োবৃদ্ধদের দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা সেটা হতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যুবসমাজ সেবক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে, নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করবে, পরিবারকে সহায়তা করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছি। আজকে আমাদের তরুণ সমাজই হবে সেই ৪১-এর কারিগর। তারা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রত্যেক মানুষ যেন সুন্দর জীবন পায় আমরা সে পথে এগিয়ে যাব।  তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল দেশের যুবসমাজকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করা। তখনকার যুগে কেউ কম্পিউটার শিখত না, কম্পিউটার ছিলই না। দু-চারটা অফিসে হয়তো ডেস্কটপ সাজানো থাকত, কিন্তু কেউ ব্যবহার করত না। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ করার কথা বলেছি। আজ আমরা উন্নয়শীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশন হয়েছে। এটা যেন আর পিছিয়ে না যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমিই উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে, প্রথমেই প্রযুক্তি শিক্ষা দিতে হবে। কারণ সে সময় আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে মাত্র ৭ শতাংশ ছেলেমেয়ে সম্পৃক্ত ছিল। যে কারণে আমি ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেই। কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেই। শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসী যুবকরা বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারবে, সে ব্যবস্থা করেছি। প্রযুক্তি ও কম্পিউটার শেখার জন্য আমরা আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছি, যাতে যুবকরা ট্রেনিং নিয়ে এ সেক্টরে দক্ষ হয়। দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি, সেখানেও কর্মসংস্থান হচ্ছে। তিনি বলেন, কোনো যুবকই বেকার থাকবে না।

সর্বশেষ খবর