শিরোনাম
সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
আইন সংশোধনের খসড়া

ভোটের খবর সংগ্রহে বাধা দিলে তিন বছর জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা ও লাঞ্ছিত করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল-জরিমানার বিধান রাখার প্রস্তাব করে আইন সংশোধনের খসড়া করা হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। গতকাল নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনের সময়ে যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, ডিউটি পালনে যদি অ্যাসল্ট করে থাকে; ইকুইপমেন্টস এবং সঙ্গী-সাথী যারা আছে, তাদের যদি ক্ষতি করার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বনিম্ন এক বছর। এ ছাড়া জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এদিকে নতুন এই ধারা সংযুক্ত করার সুপারিশ করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহে অনিয়মকারীদের আইনের আওতায় : গতকাল ঝিনাইদহ পৌরসভায় ভোট হয়েছে। সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় ও ইভিএমে ভোট হয়। ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, এ পৌরসভার ৪৭ কেন্দ্রের ২৬৫টি ভোটকক্ষের ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রাখা হয়। কন্ট্রোল রুম ছিল ইসিতে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতিা নিশ্চিত হওয়ার ছাড়াও যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। এ নির্বাচনে কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যেটা অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

সংসদে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখার চিন্তা : এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও টেকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। তিনি বলেন, বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার প্রচেষ্টা থাকবে। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যেই আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করব এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীতা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর