বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সীমান্তে উত্তেজনা

অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় কয়েকটি পরিবার

বান্দরবান প্রতিনিধি

সোমবার রাতে প্রচণ্ড গোলাগুলির পর গতকাল প্রায় পুরোপুরি শান্ত ছিল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে ওয়ালিডং এবং খ্য মং সেক এলাকা। এপারের তমব্রু কোনারপাড়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল ৯টার দিকে ১টি এবং বিকাল ৪টার দিকে ৩টি গুলির আওয়াজ তারা শুনতে পেয়েছেন। একটি সূত্র জানায়, কোনার পাড়ার বিপরীতে সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের ওপর বেশ কয়েকটি উপজাতীয় পরিবারকে জড়ো হতে দেখা গেছে। রাতের অন্ধকারে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এখান থেকে ওপারের সবকিছুই স্পষ্ট দেখা যায়। এই শরণার্থী ক্যাম্পের একটি সূত্র জানায়, কোনার পাড়ার বিপরীতে সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের ওপর বেশ কয়েকটি উপজাতীয় পরিবারকে তারা জড়ো হতে দেখেছেন। রাতের অন্ধকারে হেডম্যান পাড়া হয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক মাঝি (নেতা) নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সোমবার সকালে তারা মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী বিজিপির কয়েক জওয়ানকে একটি লাশ এবং বেশ কিছু ভারী সামগ্রী নিয়ে যেতে দেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রবিবার রাতে গেরিলা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে নিহত হওয়া নিজেদের সৈনিকের লাশ এবং অবস্থান গুটিয়ে নিরাপদ কোনো স্থানে তারা সরে গেছে। এদিকে রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উ ক্য চাইন চাকমা জানিয়েছেন, গোলাগুলি বন্ধ থাকায় গতকাল এই স্কুলে উপস্থিতির হার কিছুটা বেশি ছিল। গত এক মাস ধরে সীমান্তের ওপারের প্রচণ্ড গোলাগুলির কারণে এপারের বিস্তীর্ণ জনপদে উৎকণ্ঠা বিরাজ করলেও সীমান্তে দায়িত্ব পালনকারী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে না। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে একজন বিজিবি অফিসার জানান, সীমান্ত বিষয়ে সব তথ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর