বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

একদিকে ভাঙন আরেকদিকে কান্না

প্রতিদিন ডেস্ক

একদিকে ভাঙন আরেকদিকে কান্না

মুন্সীগঞ্জের বাংলাবাজার ইউনিয়নের দুটি গ্রামে পদ্মায় থামছে না ভাঙন। মানুষের আর্তনাদ -রোহেত রাজীব

নদীর পানি বাড়তে থাকায় তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। কোথাও বিলীন হয়ে গেছে বসতভিটা, রক্ষাবাঁধ, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পসংলগ্ন নদীরক্ষা বাঁধের বেশির ভাগ অংশ বিলীন হয়ে গেছে। মুন্সীগঞ্জে নদীর ভাঙনে ভিটেবাড়ি হারিয়েছে ২ শতাধিক পরিবার। তিনটি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চরনাকালিয়া গ্রামে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য-

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতী নদীর ভাঙনঝুঁকিতে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প ‘স্বপ্ননগর’। উপজেলার দিকনগর খেয়াঘাটের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত চরকাতলাশুর স্বপ্ননগর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনের অংশের অস্থায়ী নদীরক্ষা বাঁধের বেশির ভাগ ভেঙে গেছে। ৫৩ একর জমির ওপর নগরের সব সুবিধা নিয়ে স্বপ্ননগর আবাসন এলাকা গড়ে তোলা হয়। যাদের জমি নেই, ঘর নেই এমন ২৮৬ পরিবারের ঠাঁই হয় এখানে। ঘর নির্মাণের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে মসজিদ, মন্দির, বিদ্যালয়, হাট, খেলার মাঠ, ঈদগাহ, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিশু পার্ক, ইকো পার্ক ও সামাজিক বনায়ন। দুই বছর না যেতেই প্রকল্পের বাসিন্দারা নদী ভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারানোর আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম, সিরাজুল ইসলাম শরীফ, হুরি বেগম বলেন, ‘আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে স্বপ্ননগরে একটু আশ্রয় পেয়েছিলাম। এখন এ আশ্রয় হারালে আমাদের আবার পথে পথেই থাকতে হবে।’

সিরাজগঞ্জ : যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বাড়তে থাকায় তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিনটি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এতে তিনটি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। শীতকালীন সবজি খেত নষ্ট হয়ে গেছে।

মুন্সীগঞ্জ : নদী ভাঙনে সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের সর্দারকান্দি, শম্ভু হালদার কান্দি ও মহেশপুর গ্রামে গৃহহীন হচ্ছে শত শত পরিবার। স্থানীয়রা জানান, তিন বছর যাবৎ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ও শিলই ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী গ্রামে ভাঙন চলছে। গত দুই বছরের তুলনায় এবার ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক। ইতোমধ্যে বাংলাবাজার ইউনিয়নের তিন গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ভাঙন আতঙ্কে প্রতিদিন বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে গ্রামবাসী। এ ছাড়া ভাঙনের মুখে রয়েছে একটি উচ্চবিদ্যালয়, পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মসজিদ, মন্দির।

সর্বশেষ খবর