রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কূটনীতির সঙ্গে সামরিক প্রতিবাদও যুক্ত করতে হবে

আরাফাত মুন্না

কূটনীতির সঙ্গে সামরিক প্রতিবাদও যুক্ত করতে হবে

মে. জে. (অব.) আবদুর রশিদ

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লাগাতার গোলা পড়ার ঘটনায় জোরালো কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়ে ফল না পাওয়ায় এখন সামরিক প্রতিবাদ যুক্ত করতে হবে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গোলা পড়া আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। এর দায়ভার মিয়ানমারকেই নিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আবদুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে শুরু থেকেই যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে। আমরা দেখেছি, আমাদের কূটনৈতিক উদ্যোগ, তাদের প্রতিবাদ জানানো, সেটা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও গোলা পড়ার ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।  তিনি বলেন, এখন আমাদের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুধু দ্বিপক্ষীয় না রেখে বহুপক্ষীয়তায় নিয়ে যেতে হবে। বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সবাইকে বোঝাতে হবে, মিয়ানমারের উসকানি ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে একটি সামরিক সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। আর সামরিক সংঘাত মানে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়া। যেটা গোটা অঞ্চলের জন্যই ক্ষতিকর। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সংঘাত নিরসন করাই উত্তম পন্থা। সেই উত্তম পন্থা যদি কাজ না করে, তখন অন্য পন্থার দিকে চোখ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যদি সামরিক কূটনীতি যুক্ত করে আর্মির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো যায়, তাতেও কিছুটা ফল পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা।

 

সর্বশেষ খবর