শিরোনাম
রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভারত-চীনে নির্ভরশীলতা কমাতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে : টিপু মুনশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত ও চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ জন্য তিনি কাঁচামালের শিল্প কারখানা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যত দিন পর্যন্ত নিজের ইন্ডাস্ট্রি করতে না পারব, তত দিন নির্ভরশীল থাকতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের  (ওকাব) সঙ্গে ‘মিট দ্য প্রেস’ এ তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার এবং ওকাব নেতা ফরিদ হোসেন। ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের রপ্তানি বাড়িয়েছি যেটা এক দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ছিল সেটা দুই বিলিয়নে নিয়েছি। এটা রাতারাতি করা সম্ভব নয়। আমাদের প্রচুর র-ম্যাটেরিয়ালস্ (শিল্পের কাঁচামাল) আনতে হয় ভারত ও চীন থেকে। এজন্য বাণিজ্য ঘাটতি হয়। আমাদের এখানে যদি এসব শিল্প-কারখানা করতে পারি তাহলে ঘাটতি কমে আসবে। তা না হলে ভারত ও চীনের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে যাবে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটবে। সে লক্ষ্য পূরণে নতুন কোনো পলিসি সরকার নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার, নিজেরা চেষ্টা করে যে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব- এমনটা মনে হয় না। আমাদের বিপদ সামনে রেখে কতটুকু করা যায় সেটাই চিন্তার বিষয়। যেমন বৈশ্বিক মার্কেটে কিছু জিনিসপত্রের দাম কমেছে। কিন্তু অন্যদিকে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এর ফলে কমার সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সমস্যা আছে তার মধ্যেও ব্যবসা বন্ধ নেই। পাশের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ কওে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ চলছে। তাদের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলোর কিছু আমাদের দেশে এসেছে। আমরা চাই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক।  ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সরকার কী কৌশল নিচ্ছে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে; সে ক্ষেত্রে ইউরোসহ অন্যান্য মুদ্রার কথা এসেছে। এটা খুবই টেকনিক্যাল বিষয়; সম্ভব কি না সেটা জানি না। যেহেতু কথা উঠেছে তাই সম্ভাবনা আছে, চেষ্টাও চলছে। কারণ ডলারের দাম ওঠা-নামা করছে। দাম নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় চিন্তা করছে, আশা করছি ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।

সর্বশেষ খবর