বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
১১০০ কোটি টাকার ক্ষতি

বিমানের সাত কর্মকর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিসরীয় দুটি বিমান লিজ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চার কর্মকর্তাকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে সোমবার আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ নিয়ে মোট সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো।

এ ছাড়া বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুদকের শুভেচ্ছাদূত থাকবেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, যে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রিন্সিপাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সাইফুল হক শাহ, এয়ার ওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ার, বিএফসিসি ম্যানেজার সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া ও কামাল উদ্দিন আহমেদ। সোমবার যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন- প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেনেন্স) এস এম সিদ্দিক, আই অ্যান্ড কিউএর প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার এস এম হানিফ এবং এমসিসির প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী। তবে এদিন ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক এবং পরিদর্শক দলের টিম লিডার ইশরাত আহমেদ হাজির হননি। মাহবুব হোসেন বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০১৪ সালে ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ পাঁচ বছরের জন্য লিজ ভিত্তিতে নিয়ে আসে। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এটি অনুসন্ধান করে। তারা দেখতে পায়, বিমান দুটি যথাযথ মানের ছিল না, ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। এই বিমান লিজ নেওয়ার ঘটনায় দেশের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, দুদকের শুভেচ্ছাদূত সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে কি না বা এ অবস্থাতেও সাকিব আল হাসান কমিশনের শুভেচ্ছাদূত থাকছেন কি না। উত্তরে মাহবুব হোসেন বলেন, অভিযোগ এলেই তো সঙ্গে সঙ্গে কোনো কিছু হয় না। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন দেখছে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং দলের অধিনায়ক। তার সঙ্গে দুদকের ২০১৮ সালে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যে চুক্তিটি হয়েছিল, সেটি ছিল বিনা পারিশ্রমিকে উনি দুদকের হয়ে তথ্যচিত্র তৈরিতে কাজ করবেন। ২০১৮ সালে যখন দুদকের ১০৬ কমপ্লেইন হটলাইন চালু হয় তখন একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আর কোনো তথ্যচিত্র বা কোনো কার্যক্রম হয়নি।

 

সর্বশেষ খবর