বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। রাজপথ জনগণের। আপনারা ফাঁকা মাঠে তাফালিং করবেন, আর আওয়ামী লীগ আঙুল চুষবে, এটা মনে করবেন না। গতকাল বিকালে রাজধানীর লালবাগে থানা ও চারটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার প্রমুখ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সংযমী হয়ে, সতর্ক অবস্থানে মাঠে অবস্থান নেবেন। মাঠ ছাড়ব না, অবস্থান নিতে হবে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথে আন্দোলন করুন, শান্তিপূর্ণভাবে আসুন। মোকাবিলা হবে রাজপথে। রাজপথে খেলা হবে। লাফালাফি করবেন না, বাড়াবাড়ি করবেন না। ২২-দলীয় জোট গতবারও ছিল। সেই ২২ দলের অবস্থা জগাখিচুড়ি, ছত্রভঙ্গ অবস্থা। এবারও ২২-দলীয় জোটের অবস্থান আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ যেই করবে বলে দিয়েছি, আজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, ক্যাম্পাসে যারা বিশৃঙ্খলা করবে, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি করবে, যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে-শেখ হাসিনা তাদের রেহাই দেবেন না। দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আপনারাও বাড়াবাড়ি করবেন না। নির্বাচনের ১৪ মাস বাকি। আপনারা এখন স্লোগান, পাল্টা স্লোগান শুরু করেছেন। শোডাউন দিয়ে কেউ এমপি হতে পারবেন না। শেখ হাসিনার কাছে সবার হিসাব-নিকাশ জমা আছে। ওই এলাকার জনগণের কাছে যে জনপ্রিয়, সেই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। পাল্টাপাল্টি করে কেউ কাউকে ঠেকাবেন, এটা হবে না। দেশবাসীর উদ্দেশে কাদের বলেন, আপনাদের কষ্ট আমাদের সৃষ্টি নয়। আজকে জীবনযাত্রার মান সারা বিশ্বে বেড়ে গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ এই সংকটকে আরও প্রকট করেছে। শেখ হাসিনা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন। চিন্তা করবেন না- বাংলাদেশে এমন কোনো সংকট হবে না। আগামী দিনগুলো ভালোই যাবে। এখনই আস্তে আস্তে স্বস্তিতে ফিরে যাচ্ছি। আপনারা বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি বারবার আস্থা রেখেছেন। আপনারা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। এই সংকট বেশি দিন থাকবে না। এই দুর্দিন চলে যাবে। আবার সুদিন আসবে। অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতা-কর্মীদের বলেন, ‘নৌকার স্লোগান দেওয়ার সময় আসবে। তখন আমি নিজেই বের হব এ স্লোগান নিয়ে। গতবারও (স্লোগান) দিয়েছিলাম, এবারও বের হব। আগাম কিছু বলবেন না।’
