জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে খুনের দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাই কোর্ট। এ মামলায় একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা চারজন হলেন মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব ও সাখাওয়াত হোসেন। খালাস পেয়েছেন ইছাহাক আলী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মান্নান, জাকির হোসেন মাসুদ ও নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ। কুনিও হোসি হত্যার দায়ে জেএমবির পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় গুলি করে হত্যা করেন জঙ্গিরা। জেএমবির আট জঙ্গির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী। পরে মামলাটি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে স্থানান্তর হলে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এ হত্যার দায়ে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি) হাই কোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আট আসামির মধ্যে অন্য দুজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাদের মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।