বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চেয়ারম্যানের দিকে অস্ত্র তাক এমপি বাবলুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

চেয়ারম্যানের দিকে অস্ত্র তাক এমপি বাবলুর

পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু (বগুড়া-৭, গাবতলী-শাজাহানপুর) ও উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলমগীরের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এমপির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) রেজাউল করিম আহত হন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

জানা যায়, এমপি বাবলু গতকাল সকাল ১০টায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেওয়ার জন্য লোকজন নিয়ে উপজেলা পরিষদে আসেন। এ সময় বাদশা আলমগীর তাঁর ভাষায়- ‘কাজ না হওয়ায়’ বিভিন্ন সরকারি কাজের বরাদ্দের জন্য এমপিকে ‘ঘুষ’ হিসেবে দেওয়া ৯৫ হাজার টাকা ফেরত চান। নিয়ে এ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। একপর্যায়ে উভয় পক্ষে মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে এমপির পিএ রেজাউল করিম (৩৫) আহত হন। হইচই শুনে চলমান আইনশৃঙ্খলা সভা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু দ্রুত বের হয়ে এসে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা চালান। তবু উত্তেজনা থামে না। একপর্যায়ে এমপি বাবলু তাঁর ব্যক্তিগত পিস্তল বের করে তাক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও পরিষদের লোকজন এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনার পর এমপি বাবলু পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে তৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। রেজাউল করিম বাবলু জানান, বাদশা আলমগীরের নেতৃত্বে যুবলীগের ইমান আলী ও শহিদুল ইসলাম এবং শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নুসহ নেতা-কর্মীরা দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার্থে তাঁর লাইসেন্স করা ব্যক্তিগত পিস্তল বের করেন। তিনি বলেন, কে তাঁকে টাকা দিয়েছে আর নিয়েছে তা তিনি জানেন না। তাঁর কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তাঁর কাছে অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা না করে এভাবে হামলা করা হয়েছে। ঘটনাটি তিনি তাঁর সংসদীয় কমিটিকে জানাবেন। তিনি বলেন, ‘ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাকে এবং আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।’

 

সর্বশেষ খবর