বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রদলকে পিটিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি ছাত্রলীগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাত্রদলকে পিটিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গতকাল ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের পিটুনি ছাত্রলীগের -জয়ীতা রায়

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি ঘোষণার পর উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতে আসা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে এ হামলায় ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল বেলা ৩টায় স্মারকলিপি জমা দিতে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাক্ষাতের কথা ছিল। একই দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ছাত্রদলের উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল। ছাত্রদলের আসার খবরে সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের হল শাখাগুলোর নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন নেতা-কর্মী মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল থেকে লাঠিসোঁটা, পাইপ ও স্টাম্প বের করে ‘ধর ধর’ বলে তাদের দিকে তেড়ে যান। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আর আগে না বেড়ে নীলক্ষেত পুলিশফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যান। পরে এফ রহমান হল সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে গুরুতর আহত ছাত্রদলের তিন নেতার শরীর থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়। অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কিছুক্ষণ ছাত্রদলবিরোধী স্লোগান দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। ছাত্রদলের ঢাবি শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওলী আহমেদ জানান, তাদের অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগের হামলায় সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনের মাথা ফেটে গেছে। কয়েকজনের হাত ভেঙে গেছে। এ ছাড়া সাক্ষাতে যাওয়া প্রত্যেকেই কমবেশি মার খেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলেই ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ নিরাপদ। কিন্তু আমরা গিয়ে হামলার শিকার হলাম।’ এ বিষয়ে একাধিকবার ফোন দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে ছাত্রদল সাক্ষাৎ করতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৩০ দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্রলীগ। বিকালে মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগের ঢাবি শাখা সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ বিভিন্ন হল শাখার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- হলগুলোতে স্বল্পমূল্যে মানসম্মত ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা, প্রশাসনিক কাজে অটোমেশন চালু করা প্রভৃতি।

 

সর্বশেষ খবর