বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পুলিশ ফাঁড়িতে মৃত্যু আসামির

♦ ওসি বলছেন আত্মহত্যা ♦ নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ পরিবারের

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ি হাজতে লেবু মিয়া নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ভিকটিম বাঁশতৈল গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে লেবুর পরিবার অভিযোগ করেছে, তাকে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা নির্যাতন করে মেরে ফেলেছেন। এখন বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, পাঁচ বছর আগে বাঁশতৈল পশ্চিমপাড়ার সখিনা বেগম তালাকপ্রাপ্ত হয়ে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। মেয়েদের বিয়ে হওয়াতে প্রবাসী ছেলের বউ নিয়েই বাড়িতে থাকতেন তিনি। ছেলের বউ বাড়িতে না থাকায় রবিবার রাতে সখিনা বেগম একা ছিলেন। সোমবার অনেক বেলা হলেও সখিনাকে না দেখে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন খোঁজ করতে আসেন। পরে  ঘরের ভিতরে তার মরদহে দেখতে পায়। খবর পেয়ে বাশতৈল ফাঁড়ির পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় সখিনার গলায় রশির দাগ এবং ডান পাশে কালো দাগ পায় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ সখিনার সাবেক স্বামী মফিজ উদ্দিন এবং লেবু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। ভোর ৫টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি হাজতে লেবু মিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে। এ ব্যাপারে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও আত্মহত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

সর্বশেষ খবর