শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

৮০ শতাংশ রোগীর বিদেশ যাওয়ার পেছনে ঘাপলা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮০ শতাংশ রোগীর বিদেশ যাওয়ার পেছনে ঘাপলা আছে

দেশের রোগীদের বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এজন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে সার্জন সব কিছুই আছে। তার পরও ৮০ শতাংশ রোগী বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। এর পেছনে নিশ্চিয়ই কোনো ঘাপলা আছে। গতকাল রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ঢাকা ক্যান্সার সামিট-২০২২’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক বিষয় আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত                 হলেও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভারত, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে চিকিৎসা নিতে যান। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিমানে দিল্লি, মাদ্রাজ, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংকক যাচ্ছেন। অনেকে পড়াশোনার জন্য যান সেটি ঠিক আছে, কিন্তু বড় একটি অংশ যাচ্ছেন চিকিৎসা নিতে। নিশ্চয়ই এর পেছনে কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে চোখ, হার্টসহ দেশে কোনো ইনস্টিটিউট ছিল না, এখন অনেক হয়েছে। তার পরও আরও ভালো করতে হবে। কারণ ভালো কাজে প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৫-৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে যে কারণে এসব ক্লিনিক হয়েছে, সেই লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার পেছনে কারণ রয়েছে। আমাদের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের যে গতি এসেছে, ২০৪০-৪১ সালের দিকে উন্নত দেশ হওয়ার যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়নে সবাইকে পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য গ্রামাঞ্চলেও চিকিৎসাব্যবস্থায় জোর দিতে হবে। দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই গ্রামে থাকে। চিকিৎসকদের গবেষণায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, আমাদের এখানে গবেষণা হচ্ছে না। যার কারণে প্রধানমন্ত্রীও অনেকটা ক্ষুব্ধ। চিকিৎসকদের অন্যতম প্রধান কাজ গবেষণা। এর জন্য অর্থের প্রয়োজন হলে সরকার তা দেবে। অনুষ্ঠানে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্যান্সার অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা। সম্প্রতি এর প্রকোপ বেড়েছে। গ্রামাঞ্চলে মুখের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের রোগী দেখা দিলেও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ফলে বেশির ভাগ রোগীকে ঢাকামুখী হতে হয়। বিশেষ করে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আসেন। স্থানীয় পর্যায়ে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে এ রোগী কমানো সম্ভব। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, বিশ্বজুড়েই ক্যান্সার চিকিৎসা একটি বড় সমস্যা। শুধু বয়স্করা নন, কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য ডায়াগনসিস বাড়ানোর বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর