সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সেপ্টেম্বরে কমেছে রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইউক্রেন যুদ্ধের পর ধারাবাহিকভাবে প্রতি মাসে রপ্তানি আয় বাড়তে থাকলেও সেপ্টেম্বরে এসে কমে গেছে। গত মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। আগের বছরের সেপ্টেম্বরে অর্জিত রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪১৬ কোটি মার্কিন ডলার। গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত ছিল। গত আগস্টেও টার্গেট ছাড়িয়ে গিয়েছিল আয়। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৮ শতাংশ। তবে অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে সেই ধারাবাহিকতায় কিছুটা ছেদ পড়েছে। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করছিলাম যে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মনে হচ্ছে কিছুটা আগে থেকেই সেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যুদ্ধের কারণে ইউরোপ ও আমেরিকায় চাহিদা কমায় রপ্তানি কমছে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরের রপ্তানি আয় সরকারের টার্গেটের চেয়েও কমেছে। এ মাসের টার্গেট ছিল ৪২০ কোটি ডলারের; লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৭ দশমিক ০২ শতাংশ কম হয়েছে আয়।

মূলত দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের আয় কমে যাওয়ার কারণেই একক মাসে মোট রপ্তানি নেতিবাচক হয়ে গেছে। সেপ্টেম্বরে নিট  পোশাকে রপ্তানি ৯ শতাংশ কমেছে এবং ওভেনে রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

তবে একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমলেও অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এখনো ইতিবাচক ধারাতেই আছে মোট রপ্তানি আয়।

সেপ্টেম্বরে কমেছে রেমিট্যান্স : সেপ্টেম্বর মাসে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের  রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। গত ৭ মাসের মধ্যে এটিই প্রবাসীদের পাঠানো সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা ২ বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স আসে দেশে।  সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রেমিট্যান্সের সে ধারা অব্যাহত ছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের  রেমিট্যান্স। দ্বিতীয় মাস আগস্টে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

 কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য মতে, সদ্য সমাপ্ত  সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে মোট ১৫৩  কোটি ৯৫ লাখ ডলার বা প্রায় ১.৫৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের (২০২১ সালের সেপ্টেম্বর) একই সময়ের   চেয়ে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার বা প্রায় ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার।

সর্বশেষ খবর