বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
গাজীপুরে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ, সীমানায় এসব দেখতে চাই না

গাজীপুর ও কালিয়াকৈর প্রতিনিধি

গাজীপুরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বাংলাদেশ-মিয়ানমান সীমান্ত পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ চলছে। সেখানে আরাকান আর্মিসহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ তাদের দাবি আদায়ের জন্য যুদ্ধ করছে। তবে তাদের যুদ্ধ আমাদের সীমানার কাছে দেখতে চাই না। তাদের কোনো গ্রুপ যাতে বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়তে না পারে সেজন্য  সেখানে বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তিনি গতকাল সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ) প্রথম ধাপের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই’ উল্লেখ করে বলেন, ‘মিয়ানমারের ঘটনা আপনারা সবাই জানেন। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ। ওই যুদ্ধ তাদের ভিতরেই হচ্ছে। আমাদের বিজিবি নজরদারিতে আছে। আমরা মনে করি, আমাদের এখানে তারা আসবে না।’ এ সময় অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলমসহ বাহিনীর অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আনসারদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করছি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান, মেধা, শ্রম ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আপনারা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বাহিনীর সুনাম এবং ভাবমূর্তি অক্ষুণœ রেখে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করে দেশ এবং জাতির সার্বিক উন্নয়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের সালাম গ্রহণ এবং মার্চ পাস্ট উপভোগ করেন। এর আগে ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত কুচকাওয়াজে খোলা সবুজ জিপে চড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিটি কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন। পরে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি। মোট ৯৯৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ড্রিলে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করেন রফিকুল ইসলাম হৃদয়, ফায়ারিংয়ে সেরা নূরুল ইসলাম, চৌকশ প্রশিক্ষণার্থী আকরাম হোসেন।

সর্বশেষ খবর