বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে মামলা হয়নি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের ছাতকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে থানার ওসিসহ অন্তত ৪৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া গত রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভয়াবহ এ সংঘর্ষে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার জাউয়াবাজারে  স্থানীয় জাউয়াবাজার কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা মাসুম ও মাহতাব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে দুই ছাত্রলীগ নেতার পক্ষ নিয়ে স্ব স্ব পাড়ার  লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে সংঘটিত এই সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে উভয় পক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, পুলিশ ৭৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরও জানান, সংঘর্ষে জড়িত কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও জাউয়া কোনাপাড়া গ্রামের জুনেদ আহমদের সঙ্গে একই কলেজের অপর ছাত্রলীগ নেতা ও জাউয়া পূর্বহাটি গ্রামের মাহতাব মিয়ার পূর্ব বিরোধ ছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় আকিল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষ সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও পেট্রোলবোমা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় জাউয়াবাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে পুলিশ, পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৪৫ জন আহত হন। এ সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। সূত্র জানায়, সংঘর্ষে আহত ৩০ জনকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর গুরুতর আহত লোকমান হোসেন, মাসুম মিয়া, হোসাইন আহমদ, জুনেদ মিয়া, কমর উদ্দিন, আকবর আলী,  মোহাম্মদ আলী, নাজিম উদ্দিন, সুমন মিয়া, খোকন মিয়া, মুহিবুর রহমান, মাহতাব মিয়া, তোফায়েলসহ ১৬ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী  মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহাম্মেদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কবির হোসাইন, এএসআই রিপনসহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর