শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ভোটার কার্ড দেবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ভোটার কার্ড দেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। গতকাল ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, ‘এনআইডি চলে গেলেও ভোটার সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা ইসির সম্পদ। আমাদের সার্ভার আমাদের কাছেই থাকবে। এই সার্ভার আমরা কারও কাছে হস্তান্তর করব না। তখন ভোটাররা আমাদের কাছ থেকে ‘ভোটার কার্ড’ পাবেন। তিনি বলেন, ‘এনআইডির কর্তৃত্ব চলে গেলেও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করছে ইসি। কারণ এনআইডির ভিত্তিতে আমরা নির্বাচন করি না। আমরা নির্বাচন করি ভোটার তালিকার ভিত্তিতে। তবে ভোটার সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ এদিকে গাইবান্ধা নির্বাচনে গোপন কক্ষে সিসিক্যামেরা বসানো ভোটাধিকার লঙ্ঘন- এমন অভিযোগের বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা গোপন কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখিনি। কারণ এটা গোপন কক্ষ। কে কোন মার্কায় ভোট দিয়েছেন এটা দ্বিতীয় ব্যক্তির জানার সুযোগ নেই। সিইসি বা কমিশনার, কারও অধিকার নেই এটা জানার। যারা বলেছেন ঠিকই বলেছেন। ‘আমরা ক্যামেরা রেখেছি ভোট কেন্দ্রে। সেখানে দেখা গেছে অবৈধ ব্যক্তি ভোট দিয়ে চলে আসছে। কাকে ভোট দিয়েছে তা তো দেখিনি। এটা দেখার সুযোগ নেই। কেউ এটা বলে থাকলে সেটা ভুল তথ্য।’ অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি কাল হয়তো ফিরে আসবে। তারপর তারা রিপোর্ট দেবে। রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’ ইসি আলমগীর বলেন, ‘এনআইডি চলে গেলেও ভোটার সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে আমরা তথ্য শেয়ার করতে পারি। এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে গেলে তারা তথ্য ব্যবহার করতে চাইলে দেওয়া যাবে।’ মো. আলমগীর বলেন, ‘এনআইডি চলে গেলে এটার নাম দেব ভোটার আইডি। ভোটাররা আমাদের কাছ থেকে কার্ড পাবেন। এনআইডি তো কার্ড হিসেবে আমরা বানাইনি। আমরা বানিয়েছি ভোটার কার্ড হিসেবে।’ জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘নতুন করে কিনতে না পারলে যা আছে তা দিয়ে যতগুলো আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যায় ততগুলোই করব। ‘পরিকল্পনা কমিশন যদি মনে করে আমাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের আর্থিক সক্ষমতা আছে, তারা যদি মনে করে পারবে তাহলে নতুন করে ইভিএম কেনা হবে। তবে জানুয়ারির মধ্যে এই প্রকল্প পাস হলে আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।’

সর্বশেষ খবর