জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, রক্তপাতের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন জাতীয় পার্টি চায় না। রক্তপাত, হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি করে একটি বিবর্তন বা পরিবর্তন আসুক তা জাতীয় পার্টি চায় না। দলীয় ঐক্য, জাতীয় ঐক্য এবং উন্নয়নের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য, মানবসেবার জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভোটের মাধ্যমে একটি সরকার গঠন হবে এটাই স্বাভাবিক। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। সাবেক মন্ত্রী ও প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, জাতীয় পার্টি শান্তিতে বিশ্বাসী এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বিশ্বাস করে। জাতীয় পার্টিতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সময়ের প্রয়োজনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। কারণ যে মানুষটি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনি হলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। তিনি রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি কবি ছিলেন, সাহিত্যিকও ছিলেন। সাংবাদিক জগতে তাঁর একটি সুনাম আছে। তিনি হারিয়ে যেতেন সবার মাঝে। মানুষের আদর ও ভালোবাসার মাঝে। জাতীয় পার্টিতে গ্রুপিং সম্পর্কে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি এরশাদ নেই। তাঁর আদর্শ আছে, তাঁর রাজনৈতিক দল আছে। এ আদর্শ জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াস চালাতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এখানে হারিয়ে যাব না। আমরা সফল হব। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এতেই আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। তিনি আরও বলেন, আমরা যেদিকে তাকাই তাঁর ছবি দেখতে পাই, হাতের ছোঁয়া দেখতে পাই। এগুলো একত্র করে আমরা যখন আলোচনা করব এ দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত সংগঠন হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করব। এ সংকট দূর করার জন্য আমাদের আলোচনায় বসতে হবে। নিশ্চয়ই আমাদের দীর্ঘ পথচলা একটি অঙ্গীকার, পল্লীবন্ধু আমাদের নেতা, তাঁর আদর্শ, তাঁর দল জাতীয় পার্টি। আলোচনা করলেই এ দূরত্ব কমে যাবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টি আবার এককভাবে চলতে পারবে। এই জাপা নেতা আরও বলেন, দেশবাসী বিদ্যুৎসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন। সমাজে সব সমস্যার সমাধান হলো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। আমাদের প্রিয় নেতা ঐক্যের কথা বলেছেন। দলীয় ও জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য এ ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ভোটের মাধ্যমে একটি সরকার পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রক্তপাত, হানাহানি জাতীয় পার্টি চায় না।