শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

নভেম্বরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতির আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতির আশা

বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ হাইড্রোজেন পলিসিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে অক্সফাম ইন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘এনডিসি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, কত দ্রুত আরও উপযোগী পরিবহন সেবায় যেতে পারি। বিদ্যুৎ বিভাগ ইভি (ইলেকট্রনিক ভেহিকেল) পলিসি তৈরি করেছে। আমরা গেজেট করে দিয়েছি। এখন জনগণের ওপর নির্ভর করছে কীভাবে তারা ইলেকট্রনিক ভেহিকেল কিনবে। ডিজেল বা পেট্রোলচালিত গাড়িগুলো ২০ শতাংশ উপযোগিতায় চলে। ইলেকট্রিক চার্জ করে সেই গাড়ি চালালে তার উপযোগিতা বেড়ে ৮০ শতাংশ হবে। এভাবে আমরা খরচ কমাতে পারি, কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারি। উন্নত বিশ্ব এই জ্বালানি সংকটের মধ্যে তাদের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করে দিয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি ১০০ মেগাওয়াট সোলার করতে চাই, সাড়ে ৩০০ একর অকৃষি জমি লাগবে। আমাদের দরকার ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আমরা যদি ১০ হাজার মেগাওয়াট সোলার দিয়ে করতে চাই, সাড়ে ৩০ হাজার একর অকৃষি জমি লাগবে। বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ জমি হলো জলাভূমি। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ কৃষি জমি। তারপরও আমাদের এই চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভাগ্যবান যে, এ দেশে কিছু গ্যাস আমরা উৎপন্ন করি। কিন্তু এই গ্যাস সারা জীবন থাকবে না। সরকার সার, গ্যাস, কৃষি খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। জ্বালানি সমস্যা সমাধানে নবায়নযোগ্য শক্তি বিকল্প হতে পারে  কিন্তু আমাদের ভূমি কোথায়! যে কারণে আমরা এখন হাইড্রোজেন পলিসিতে যাচ্ছি। আমরা জানি না, হয়তো এটিই ভবিষ্যৎ। অনেক দেশ এরই মধ্যে হাইড্রোজেন ব্যবহার শুরু করেছে। আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করছি। সারা পৃথিবী এখন বিকল্প উৎস খুঁজছে। সোলার একটি উৎস তবে বাংলাদেশে এটি মূল উৎস হতে পারে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর