শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

চরফ্যাশনে যুবদলের অনুষ্ঠানে হামলা আহত অর্ধশতাধিক

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে যুবদল, ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর ২০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে।

চরফ্যাশন উপজেলা যুবদল সভাপতি আশরাফুর রহমান দীপু জানিয়েছেন, সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলমের বাসায় সকাল ১০টার দিকে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা চলছিল।

এ সময় যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সরকারদলীয় লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েও অনেক নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে-কুপিয়ে আহত করা হয়। ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে চারটি মোটরসাইকেল। দীপু জানান, আহতের মধ্যে প্রচার সম্পাদক মিলন, যুগ্মসম্পাদক রাব্বি, চরফ্যাশন কলেজ ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান, সায়মন সিকদার ও সাদ্দাম, মোবারক, বাবলু, মেহেদী, আনোয়ার, জাকির, ফয়সাল, বিল্লালসহ ২৫-৩০ জনের অবস্থা গুরুতর। তিনি আরও জানান, আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় সরকারি দলের হামলাকারীরা হাসপাতাল এলাকায় মহড়া দিতে থাকেন। একপর্যায়ে চরফ্যাশন থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে হামলাকারীরা ওই এলাকা ত্যাগ করেন। চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া বলেন, ‘বিনা উসকানিতে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করল। পুলিশ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারল না। পুলিশ কী করবে? পুলিশ প্রশাসন তো অসহায়, জিম্মি। চরফ্যাশন এখন সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। হামলার পর আহতদের হাসপাতাল নিতেও বাধার সৃষ্টি করেছে। লাঠিসোঁটা আর দেশি অস্ত্রে হাসপাতাল এলাকায় জঙ্গি মিছিল নিয়ে সন্ত্রাসীরা মহড়া দিয়েছে।’ এ ঘটনায় মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কে নেবে মামলা? আর বিচার চাইব কোথায়? বিচার করবে কে?’ এদিকে চরফ্যাশন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না দাবি করে বলেন, ‘আমি এসবের কিছুই জানি না। শুনেছি যুবদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মারামারি হয়েছে।’ চরফ্যাশন থানার ওসি মোরাদ হোসেন জানান, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর