শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

অ্যান্টিবায়োটিক নয় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

অ্যান্টিবায়োটিক নয় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া

অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ

ইমেরিটাস অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারানো স্বাস্থ্যসেবায় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এ সংক্রান্ত আইন সুনির্দিষ্ট হতে হবে এবং কঠোর শাস্তির বিধান উল্লেখ থাকতে হবে।’ তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনেকে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে সেবন করেন। অনেক রোগী চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন শুরু করলেও, ডোজ সম্পন্ন করেন না। এই যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে পরবর্তীতে ওই ওষুধগুলো রোগীর শরীরে সংক্রমণ ঘটানো ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে না। ব্যাকটেরিয়া শক্তিশালী হয়ে ওঠে। অপ্রয়োজনে ব্যবহারে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে উঠলে রোগীকে সুস্থ করার কোনো উপায় আর থাকবে না। ভেজাল এবং মেয়াদোত্তীর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত যাতে ব্যাকটেরিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে, এ জন্য চিকিৎসক ও রোগী সবার খুব সাবধানতার সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক আরও বলেন, ১৯২৮ সালে অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু এর যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে বর্তমানে জীবাণুগুলো অ্যান্টিবায়োটিকে রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে।

সংক্রমণকারী জীবাণুর কারণে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক না থাকার কারণে মারা যেত। আর বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক থাকা সত্ত্বেও এর কার্যকারিতা জীবাণুর বিরুদ্ধে হ্রাস পাওয়ায় মুমূর্ষু মানুষকে বাঁচানো জটিল হয়ে উঠছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর