শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্ভোগে কুয়াকাটার পর্যটকরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

বরিশাল-পটুয়াখালীসহ জেলার সব অভ্যন্তরীণ রুটে মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট চলছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। ফলে গতকাল সকালে ঢাকা থেকে লঞ্চে আসা পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির  সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, টমটম, নসিমন, অটোরিকশাসহ সব অবৈধ যানবাহন চলাচলে মহামান্য হাই কোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ধর্মঘটের বিষয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো নির্দেশনা বা হস্তক্ষেপ নেই বলেও জানান রিয়াজ উদ্দিন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন বলেন, আমাদের গণসমাবেশ বানচাল করতেই এই বাস ধর্মঘট। তার পরও আমাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যে যেভাবে পারছেন বরিশাল পৌঁছতে শুরু করেছেন। গণসমাবেশ আমরা সফল করবই। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ আমাদের আটকিয়ে রাখতে পারবে না।

ঢাকা থেকে ডবল ডেকার লঞ্চে কুয়াকাটার উদ্দেশে আসা পর্যটক হুমায়ুন কবির বলেন, লঞ্চ থেকে নামার পর জানতে পারি বাস ধর্মঘট। তাই এখন যে কোনো উপায়ে কুয়াকাটা যেতে হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে কুয়াকাটা যেতে হচ্ছে।

ঢাকা থেকে কলাপাড়ায় বেড়াতে আসা নাজনীন বেগম, হনুফা বেগম, সাকিব হাওলাদার, রব মোল্লা বলেন, ঢাকা থেকে আমরা লঞ্চে এসে নামার পর জানতে পারি বাস ধর্মঘট চলছে। শিশুসহ পাঁচ পরিবারের আমরা ১৮ জন। কলাপাড়া উপজেলার চাপলি বাজারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। এখন বাস টার্মিনালে এসে দেখি যাওয়ার মতো কিছুই নেই। তাই সামনে হেঁটে হেতালিয়া বাঁধঘাট বাজারে যাই। সেখানে অটোরিকশা-টমটম যা পাই তাতেই কষ্ট করে যেতে হবে গন্তব্যে। এদিকে দুই দিনব্যাপী বাস ধর্মঘটের কারণে কুয়াকাটায় পর্যটক কমে গেছে। ৮০ শতাংশ হোটেল-মোটেলের রুম বুকিং বাতিল হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর