বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
অর্থ পাচার ও ঘুষ লেনদেন নিয়ে উৎকণ্ঠা

অর্থ পাচারকারীদের শুট ডাউন করা উচিত : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণের টাকা আত্মসাৎ, লুটপাট ও পাচারকারীদের ‘শুট ডাউন’ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাই কোর্ট। ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের মামলায় আসামির জামিন শুনানিকালে গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবুল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন মো. জুবায়দুর রহমান। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানিকালে গতকাল আইনজীবী আবুল হোসেন মামলার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। এখনো এসব মামলার তদন্তই শেষ হয়নি। দুদক এসব মামলার অভিযোগপত্র দিতে পারেনি। যে কারণে বিচারও শুরু করা যাচ্ছে না।’ তখন আদালত বলেন, ‘অর্থ পাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এত বছর পার হওয়ার পরও এসব মামলার বিচার হবে না? এ সময় দুদকের আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চান, কেন মামলার চার্জশিট দিচ্ছেন না। অর্থ লুটপাট, পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল (দ্রুত বিচার) হওয়া উচিত। আদালত আরও বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শুট ডাউন’ করা উচিত।’ এরপর আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ তথ্য দিতে দুদককে নির্দেশ দেন হাই কোর্ট। আইনজীবী মো. জুবায়দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে গত ২০ এপ্রিল তিনটি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছিল। তখন আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ছয় মাস স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রেখে দুদককে এই সময়ের মধ্যে মামলা তিনটির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন না দেওয়ায় আজ জামিন শুনানি হয়।

সর্বশেষ খবর