বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
অর্থ পাচার ও ঘুষ লেনদেন নিয়ে উৎকণ্ঠা

বস্তাভর্তি টাকায় নয় এখন ঘুষ লেনদেন হয় ডলারে : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন বস্তাভর্তি টাকায় নয়, ডলারের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন হয় বলে মন্তব্য করেছেন হাই কোর্ট। কারাগারে একজনের নামে আরেকজনের চাকরি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন  ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

শুনানির একপর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখা যায় ঘুষ লেনদেনে বস্তায় বস্তায় টাকা বিনিময় হয়।’ তখন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, এখন আর বস্তায় নয়, ঘুষ নিচ্ছে ডলারে। এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কী করে এমন প্রশ্নও করেন বিচারক। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল; কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র পাননি তিনি। চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে এশু কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। এ ঘটনায় করা তদন্ত কমিটিও ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তবে এরপরও প্রতারণা করে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিকে চাকরিচ্যুত না করায় কারা অধিদফতরে আবেদন করেন প্রকৃত জহিরুল ইসলাম এশু। তার সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাই কোর্টে রিট করেন তিনি। শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন রেখেছেন হাই কোর্ট। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছদ্মবেশ ধারণ এবং বিভিন্ন জাল-জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২০০ কারারক্ষী চাকরি করছেন- গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হয়। পরে কারাকর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ৮৮ জনের জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পায়। এর মধ্যে তিনজন পাওয়া যায়, যারা একজনের পরিবর্তে আরেকজন চাকরি করছেন।

সর্বশেষ খবর