শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন

রিপাবলিকানরা এগিয়ে

প্রতিদিন ডেস্ক

রিপাবলিকানরা এগিয়ে

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। নেভাদা, জর্জিয়া ও অ্যারিজোনা রাজ্যের ফল জানা বাকি। এই তিন অঙ্গরাজ্যের ফল নির্ধারণ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের নিয়ন্ত্রণ কারা পেতে যাচ্ছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টা পর্যন্ত সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের ৪৮ আসনের বিপরীতে রিপাবলিকানরা একটি আসনে এগিয়ে যাওয়ায় তাদের মোট আসন এখন ৪৯টি বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ ও সিএনএন। নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের দখল পাওয়ার পথেও আরও একধাপ এগিয়ে গেছে রিপাবলিকানরা। প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা ২০৯টি আসন পেয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। আর বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পেয়েছে ১৯১টি আসন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে দরকার ২১৮টি আসন। ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়, সারা দেশে নির্বাচনী কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, কিছু প্রতিযোগিতার ফলাফল নিশ্চিত হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। সাড়ে চার কোটির বেশি লোক নির্বাচনের আগের দিন, ব্যক্তিগতভাবে বা মেইল-ইন ভোটিংয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, সারা দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোট ভোট ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের রেকর্ড সাড়ে ১১ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এ নির্বাচনে সিনেটের ৩৫টি আসনে এবং হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে ৪৩৫টি আসনের সবটিতে ভোট হয়েছে। পাশাপাশি এদিন ৩৬টি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদেও ভোট হয়েছে। গভর্নর নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলে রিপাবলিকানরা শুরুতে এগিয়ে থাকলেও ডেমোক্র্যাটরা এখন ব্যবধান কমিয়ে আনছে। ইতিহাস তৈরি হয়েছে দুই রাজ্যে। ম্যারিল্যান্ড তার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর ওয়েস মুরকে নির্বাচিত করেন, যিনি একজন ডেমোক্র্যাট। ম্যাসাচুসেটস তার প্রথম ডেমোক্র্যাট মহিলা গভর্নর মরা হিলিকে নির্বাচিত করে, যিনি কোনো রাজ্যের প্রথম ঘোষিত সমকামী প্রধান নির্বাহী। রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাধারণত ক্ষমতাসীন সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ভালো ফল করে না। তার ওপর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জন্য এবার পরিবেশ ছিল আরও প্রতিকূল। এরপরও মধ্যবর্তী নির্বাচনে ‘লাল ঢেউয়ের’ যে স্বপ্ন দেখেছিলেন রিপাবলিকানরা, বাস্তবে তেমনটা হয়নি। এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় কাজ করেছে বলে রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে। রয়টার্সের মতে,  ভোটারদের একটি বড় অংশ গর্ভপাত অধিকারের সুরক্ষা চেয়েছেন। থামাতে চেয়েছেন রিপাবলিকান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগত প্রার্থীদের। এ কারণে আগে ধারণা করা অর্থনৈতিক উদ্বেগ খুব  বেশি ভূমিকা রাখতে পারেনি।

আবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসছেন ট্রাম্প-বাইডেন : এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে ঘোষণা দিতে পারেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, বাইডেন গতকাল হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা আছে। তবে সে বিষয়ে তিনি আগামী বছরের শুরুর দিকে নিশ্চিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কোনো তাড়া নেই। বাইডেন বলেন, অনেকেই বলেছিল, এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে দেশজুড়ে রিপাবলিকানদের ‘ঢেউ’ বয়ে যাবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি। এই নির্বাচনের ফল যা-ই হোক না কেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা তাঁর আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর