শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সিন্ডিকেটে লোকসান জ্বালানি খাতে

দেশের বাইরে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ, সংকটে অর্থনীতি

জিন্নাতুন নূর

সিন্ডিকেটে লোকসান জ্বালানি খাতে

বিদ্যুৎ ও গ্যাস আমদানিতে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের কারণে দেশের জ্বালানি খাতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে বাইরে চলে যাচ্ছে বড় অঙ্কের অর্থ। জ্বালানি চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), বিদ্যুৎ ও কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য টান পড়ছে দেশের রিজার্ভে। এলএনজি নিয়ে বড় ধরনের কারসাজির পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতে ঘটেছে বড় অনেক কান্ড।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সিন্ডিকেটে প্রভাবশালী দেশি-বিদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধি, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা জড়িত। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকসান সত্ত্বেও সরকারের আগ্রহ বেশি আমদানি করা জ্বালানিতে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য দেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত             হলেও এখানে বিশেষ একটি মহলের স্বার্থ দেখা হচ্ছে। বিদ্যুৎ না নিয়েও এ কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। আবার এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আমদানি করে গ্যাস সরবরাহেও অতি উৎসাহী একটি পক্ষ কাজ করছে। এসব কারণে বিপুল লোকসানে পড়ছে জ্বালানি খাত। দেশে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো অনেক আগেই বন্ধ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা বন্ধ করা যায়নি। অর্থনীতির ওপর বোঝা বাড়ানোর পরও বারবার বৃদ্ধি হচ্ছে স্বল্পমেয়াদি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ। অথচ বেসরকারি এসব কেন্দ্র থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার জন্য সরকারকে অনেক বেশি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্যে, দেশে বর্তমানে ১৮টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি কেন্দ্র ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ নীতিতে চলছে। আর বাকি আটটি আগের নিয়মেই পরিচালিত হচ্ছে। অর্থাৎ এদের ক্যাপাসিটি চার্জসহ যাবতীয় খরচ দিতে হচ্ছে। ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ গত ১২ বছরে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের সিস্টেম বাতিল করা উচিত। এগুলো বাদ দিলে দেশের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। এজন্য প্রচুর ক্যাপাসিটি চার্জ সরকারকে দিতে হয়। মাসে এজন্য দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা চলে যায়।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি গবেষণা প্রতিবেদনেও তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতির যে চিত্র পাওয়া গেছে সেখানেও জড়িত আছে সিন্ডিকেট। এতে বলা হয়- জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যথাযথ বিশ্লেষণ না করে প্রভাবশালীদের স্বার্থে কয়লা ও এলএনজি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়- ওপরের তিনটি প্রকল্পে শুধু ভূমি কেনা/অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সাশ্রয়ের জন্য ব্যয়বহুল এ জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে অনাগ্রহী বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন সক্ষমতা বেশি থাকায় সরকার এসব কেন্দ্র নির্মাণে আরও সময় নিতে চায়। এসব কেন্দ্র সরকারের কাছে বোঝায় পরিণত হতে পারে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কারণে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ। তবে এরই মধ্যে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান স্পট মার্কেট মূল্যে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি সরবরাহ করতে সরকারকে প্রস্তাব করেছে। এ প্রস্তাব অনুমোদন করলে সরকারের ভর্তুকি আরও বেড়ে যাবে। এ প্রস্তাব আমলে নেওয়া জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এলএনজিভিত্তিক তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে সামিট পাওয়ার, ইউনিক গ্রুপ ও ভারতের রিলায়েন্স। এ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। এলএনজি বাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে অবকাঠামোগত প্রস্তুতি থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সময়মতো উৎপাদনে যেতে পারা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অন্য অনেকটির মতো সামিট পাওয়ার, ইউনিক ও রিলায়েন্সের এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও অলস বসিয়ে রাখতে হতে পারে। এ কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত হওয়ার পর গ্যাসের অভাবে চালু করতে না পারলেও সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলএনজি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে সরকারের ২৮-২৯ টাকা খরচ পড়বে; যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘সামিট, ইউনিক ও রিলায়েন্স গ্রুপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসতে চাইলে সে ক্ষেত্রে জ্বালানির ব্যবস্থা না করলে সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে।’ বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে আরও তিনটি কেন্দ্র চুক্তির অপেক্ষায় আছে। ২০৩০ সালের মধ্যে যৌথ মালিকানায় বড় আকারে দুটি ও সরকারিভাবে আরও সাতটি এলএনজি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে এলএনজি সরবরাহ নিশ্চিত না করেই কীভাবে এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলো। জ্বালানি ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে এ ধারণা থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যায়। এখানে “ঘোড়ার আগে ঘাস খাওয়ার ব্যবস্থা” কে করল?’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আমদানি করে গ্যাস সরবরাহে অতি উৎসাহী একটি পক্ষ সরকারের ভিতরে ও বাইরে রয়েছে। এদের কার্যক্রম সীমিত রাখা জরুরি। তাঁদের মতে, খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানির সঙ্গে রয়েছে কমিশন-বাণিজ্যের সম্পর্ক। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসনের নিজস্ব গ্যাস উত্তোলনের আগ্রহ খুব কম। তাদের আগ্রহ বেশি আমদানি করা এলএনজিতে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরকারের সংশ্লিষ্টদের এলএনজি কেনায় প্রভাবিত করছে।’ টিআইবির ‘বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বরিশাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাঁশখালী এস এস বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মাতারবাড়ী এলএনজি বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়- জ্বালানি খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে দাতানির্ভর নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সরকার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের জ্বালানি খাতের ‘পলিসি ক্যাপচার’ করেছে। জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পগুলোয় বেশি দুর্নীতি ও দ্রুত মুনাফা তুলে নেওয়ার সুযোগ থাকায় প্রয়োজন না হলেও কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রভাবশালী মহলকে অনৈতিক সুবিধা দিতে প্রকল্প অনুমোদন, বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন, ইপিসি ঠিকাদার নিয়োগ, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ এবং বিদ্যুৎ কেনায় প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতি ব্যবহার না করে বিশেষ বিধানের আওতায় চুক্তি ও কাজ শেষ করেছে। জ্বালানির মহাপরিকল্পনায় (২০১৬) ভবিষ্যৎ জ্বালানি চাহিদা নির্ধারণে ভুল পদ্ধতি অনুসরণ করায় ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৬২ হাজার ৭০২ কোটি টাকা পুঞ্জীভূত ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি মিশ্রণে আমদানিনির্ভর কয়লা ও এলএনজিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার ফলে বারবার নীতির পরিবর্তন হওয়ায় এক দশকে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৯১ শতাংশ বৃদ্ধিসহ মোট নয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে রেন্টাল, কুইক রেন্টালসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে অনিয়মের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিছু ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) গত ১০ বছরে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ না থাকায় সরকার তাদের ৪৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা পরিশোধে বাধ্য হয়েছে।

বরিশাল ৩৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র : টিআইবির গবেষণা তথ্যে, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৮১ একর জমির প্রয়োজন হলেও কেনা হয় ৩১০ একর। সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হওয়ায় আইসোটেক গ্রুপ প্রশাসনের সহায়তায় জমির মালিকদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও ভূমি দখল করেছে। এ প্রকল্পে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ আছে। জমির দাম ও ক্ষতিপূরণে আইসোটেকের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের কমিশন গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগসহ কাঁচামাল সরবরাহের ঠিকাদারি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বাঁশখালী এস এস বিদ্যুৎ কেন্দ্র : এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩০৪ একর জমির প্রয়োজন হলেও কেনা হয় ৬৬০ একর। এ কেন্দ্রটি নির্মাণে ২ কিমি সমুদ্রতট দখল করে লবণ চাষিদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। খাসজমিসহ স্থানীয়দের প্রায় ১০০ একর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের চাপে ফেলে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জমি বিক্রিতে বাধ্য করা এবং নামমাত্র মূল্যে তা কেনার বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। এ প্রকল্পে কাজের সুযোগ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয়দের কাজ দেওয়া সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। প্রকল্পে কাজের সুযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কয়লা প্রকল্প বিরোধী আন্দোলন বন্ধে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিকে অনৈতিকভাবে প্রকল্পে কাঁচামাল, খাবার ও শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদারি প্রদানের অভিযোগ আছে।

মাতারবাড়ী এলএনজি বিদ্যুৎ কেন্দ্র : এ প্রকল্পের জন্য ৩৩ একর জমির প্রয়োজন হলেও কেনা হয় ৩৮৮ একর। প্রকল্প এলাকায় ‘ডরপ’ এনজিও কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক ও শ্রমিকদের মিথ্যা অঙ্গীকারনামায় সই করিয়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান। জমি থেকে উচ্ছেদ করা হলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়নি। চর ও খাসজমির জাল দলিল তৈরি করে এসব জমিতে মাছ ও চিংড়ি ঘের দেখিয়ে তা কোম্পানির কাছে চড়া দামে বিক্রির সঙ্গে সরকারি কর্মচারী ও আমলাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর