শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মার্কিন কংগ্রেসের ভাগ্য ঝুলে আছে দুই রাজ্যে

প্রতিদিন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তিন দিন পরও দুই রাজ্য অ্যারিজোনা ও নেভাডার গণনা বাকি থাকা লাখ লাখ ভোটের মধ্যে আটকা পড়ে আছে মার্কিন কংগ্রেসের ভাগ্যের চাবিটি। বর্তমানে রাজনৈতিক বিশ্বের সব চোখ যুক্তরাষ্ট্রের এ দুটি রাজ্যের দিকে নিবদ্ধ হয়ে আছে। কারণ, ডেমোক্র্যাট অথবা রিপাবলিকান- যারাই এ দুটি রাজ্যের সিনেটের আসনে জয় পাবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তারাই হবে। কিন্তু দুই দল একটি করে রাজ্যে  জয় পেলে ৬ ডিসেম্বর জর্জিয়ার সিনেট আসনের রান-অফ ভোট সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের চূড়ান্ত লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়াবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অন্যান্য ক্ষমতার পাশাপাশি বিচারক নিয়োগের কর্তৃত্ব এ চেম্বারের ওপরই নির্ভর করছে। এদিকে রিপাবলিকানরা ধীরে ধীরে একটু একটু করে বাইডেনের ডেমোক্র্যাটদের হাত থেকে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ বিরোধীদের হাতে গেলে তারা বাইডেনের পরিকল্পিত আইনি কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারবেন এবং তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারবেন। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ২১৮ আসন দরকার, রিপাবলিকানরা ইতোমধ্যে অন্তত ২১১টি আসন নিশ্চিত করে ফেলেছেন বলে এডিসন রিসার্চের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাদের আর মাত্র ৭টি আসন দরকার। অন্যদিকে, ১৯৭ আসনে জয় পাওয়া ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে আরও অন্তত ২১টি আসন দরকার। শেষ খবর পর্যন্ত ২৭ আসনের ফলাফল নির্ধারণ এখনো বাকি, এর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে দুই দলের প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলীয় নেতা কেভিন ম্যাকার্থি জানিয়ে দিয়েছেন, রিপাবলিকানরা হাউসের নিয়ন্ত্রণ নিলে তিনি স্পিকার পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর প্রতিনিধি পরিষদ নিশ্চিতভাবে তাঁর দলের হাতেই আসছে বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন তিনি। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের আশা এখনো ‘বেঁচে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ডেমোক্র্যাটারা প্রতিনিধি পরিষদে এখনো জিততে পারেন জানিয়ে আশা ছাড়তে রাজি হননি তিনি। বৃহস্পতিবার বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ও ম্যাকার্থি কথা বলেছেন। অ্যারিজোনা ও নেভাডার সিনেট আসনের বর্তমান ডেমোক্র্যাট সিনেটররা তাদের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাদের কী হবে তা হয়তো আরও কয়েকদিনের মধ্যে জানা যাবে না। কারণ রাজ্য দুটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণনা বাকি থাকা মেইল ব্যালটগুলো গুনতে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর