শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
দফায় দফায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

কবজি কাটার জেরে কুপিয়ে হত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে বুধবার ও গতকাল দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তিতাসের সমর্থক জালাল ফকির (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। নিহত জালাল ফকির সদরপুরের নিজগ্রামের শুকুর আলী ফকিরের ছেলে। দুই দিনের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। পাল্টাপাল্টি  হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ জানায়, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ফকির ও বর্তমান চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তিতাসের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে বুধবার দুপুরে সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থক গিয়াসউদ্দিন তালুকদার (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হাতের কবজি কেটে নেয় প্রতিপক্ষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। গিয়াসউদ্দিনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিকালে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায় ঠেঙ্গামারী, যাত্রাবাড়ী, গৌরচর ও নিজগ্রামে। এ সময় বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। লুটপাট করা হয় বাড়ির মালমাল। আহত হয় কমপক্ষে ১৫ জন। বুধবারের হামলার জেরে গতকাল সকাল থেকেই উভয় গ্রুপের কয়েক শ লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যাত্রাবাড়ী ও কৃষ্ণপুর বাজারে অবস্থান নেয়। সকাল ১০টার দিকে উভয় গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। কুপিয়ে আহত করা হয় জালাল ফকির নামে একজনকে। সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৬ জন আহত হন। তাদের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকির বলেন, তিতাস চেয়ারম্যানের লোকজন আমার এক কর্মী গিয়াসকে কুপিয়ে আহত করে। তিতাসের উসকানিতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান তিতাস বলেন, বিল্লাল ফকিরের লোকজন আমার সমর্থক জালাল ফকিরকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা আমার সমর্থকদের ১৪-১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করে। সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর