শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজপথে শক্তি না দেখিয়ে ভোটের মাঠে আসুন : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজপথে শক্তি না দেখিয়ে ভোটের মাঠে আসুন : সিইসি

রাজপথে শক্তি না দেখিয়ে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী দলগুলোকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন- ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমি বলব, রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করে, রাজপথে শক্তি দেখিয়ে সত্যিকারের যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন, সেটা হবে না। আপনাদের নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনের মাঠে নির্বাচনের যে নীতি-বিধি আছে সে অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।’ ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর নেপালের ‘ইলেকশন অব হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ ও প্রভিনশনাল অ্যাসেম্বলি’ পরিদর্শন শেষে দেশে ফেরার পর গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি। গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দল ও প্রার্থীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী মাঠে ভারসাম্য আনতে হবে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে দলগুলো প্রার্থী, এজেন্ট দিয়ে ভারসাম্য তৈরি না করলে পুলিশ-মিলিটারি দিয়ে সব সময় নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করা সম্ভব হবে না।’ আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আর এক বছর বাকি; ইতোমধ্যে নিজেদের শক্তি আর অবস্থান জানান দিতে মাঠ দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না থাকলে নির্বাচনটা কাক্সিক্ষত মাত্রায় সফল হবে না। তাদের সহযোগিতা পেলে নির্বাচন সফল হবে। রাজনৈতিক দলের মধ্যে ডায়ালগ একেবারেই হচ্ছে না আমরা দেখছি। এটা হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কারণ, আমরা রাজনীতিতে জড়িত হতে চাই না। কিন্তু রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে  আবশ্যক সহায়তা প্রত্যাশা করি।’

সিইসি বলেন, ‘আমাদের এই বক্তব্যটা যদি দলগুলোর কাছে যায়- রাজনৈতিক দলগুলোর প্রজ্ঞা রয়েছে, তারা চিন্তা করবেন। রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সুন্দর নির্বাচন হবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। সব দল বলতে চাচ্ছে, রাজপথে দেখা হবে, রাজপথে শক্তি পরীক্ষা হবে। রাজপথে শক্তি দেখিয়ে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে না। দলগুলোকে ভোটের মাঠে এসে ভারসাম্য আনতে হবে।’ নির্বাচনে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে না জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, পুলিশ দিয়ে কিন্তু ব্যালেন্স তৈরি হবে না। ব্যালেন্সটা তৈরি হবে রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, তাদের ইলেকশন এজেন্ট, তাদের প্রার্থী, তাদেরই প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালেন্স তৈরি করতে হবে। ‘তারা যদি সেই ভারসাম্য তৈরি না করেন, তাহলে পুলিশ-মিলিটারি দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করা সম্ভব হবে না।’

সর্বশেষ খবর