শিরোনাম
রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ম্যারাডোনাকে নিয়েই মাঠে

ম্যারাডোনাকে নিয়েই মাঠে

দিয়েগো ম্যারাডোনার প্রয়াণ দিন ছিল ২৫ নভেম্বর। সেই দিনটাকে বিশেষভাবেই স্মরণ করেছে আর্জেন্টিনা। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে তারা দিনটা শেষ করেছে। আটলান্টিকের ওপারে সুদূর আর্জেন্টিনার মতোই হাজার হাজার মাইল দূরের শহর দোহাতে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা ম্যারাডোনাকে গভীর ভালোবাসা নিয়ে স্মরণ করলেন। গতকাল মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচেও দিয়েগো ম্যারাডোনা ছিলেন তাদের সঙ্গে। কারও বুকে, কারও পিঠে। কেউ আবার এসেছিলেন ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ছবি আঁকা আর্জেন্টিনার পতাকায় নিজেকে মুড়িয়ে।

দিয়েগো ম্যারাডোনার প্রয়াণ দিনে দক্ষিণ আমেরিকান কনফেডারেশন (কম্বেল) আয়োজন করেছিল এক আবেগঘন অনুষ্ঠানের। সেখানে এসেছিলেন ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মারিও কেম্পেস, ওবালদো ফিল্লোল, ড্যানিয়েল বেরটোনি, রিকার্ডো লারোসা এবং আলবার্তো টারানটিনি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার সঙ্গে বিশ্বকাপ জেতা ক্লাউডিও রুগেরি, ন্যারি পুমপিডো, জর্জ বুরুচাগা, রিকার্ডো গুইসটি, সার্জিও বাতিস্তা, ক্লাউডিও বোরগি, কার্লোস টাপিয়া, জর্জ ভালদানো এবং হেকটর এনরিকেরাও প্রিয় নেতাকে স্মরণ করেছেন। এ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফ্যান্টিনোও। সবার কণ্ঠেই ছিল ম্যারাডোনার প্রশংসা আর প্রিয়জন হারানোর বেদনা। ম্যারাডোনার প্রয়াণ দিনে শোকগ্রস্ত ছিল আর্জেন্টাইনরা। দেশটির রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সসহ নানা শহরে ম্যারাডোনাকে ভালোবাসায় স্মরণ করেছেন তার ভক্তরা। কাতারের রাজধানী দোহাতেও আর্জেন্টাইন সমর্থকরা প্রিয় তারকার প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন। আরব উপসাগরের তীরে গড়ে ওঠা দোহার বিখ্যাত এলাকা কোরনিশে এখন বিশ্বকাপের নানা আয়োজন। সেখানেই আর্জেন্টাইন সমর্থকরা ম্যারাডোনাকে স্মরণ করলেন। সমস্বরে গান গাইলেন ম্যারাডোনাকে নিয়ে। অনেকেই কাঁদলেন গলাগলি করে। একে-অপরকে জড়িয়ে ধরলেন। ম্যারাডোনাকে স্মরণ করার ফাঁকে ফাঁকে লিওনেল মেসির কাছে একটা আবদারও যেন করলেন তারা। মেসির পোস্টার, ব্যানার নিয়ে তার নামে জয়ধ্বনি দিতে দিতে তারা যেন বললেন, ‘ম্যারাডোনা যেমন আর্জেন্টিনাকে গৌরবান্বিত করেছিল, এবার তুমিও তাই করো মেসি। আমরা তোমাকেও কোনো দিন ভুলব না।’ লিওনেল মেসির প্রতি ভালোবাসা কেবল আর্জেন্টাইনদের একার নয়। তাকে ভালোবাসে প্রতিপক্ষও। সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এক সৌদি নারী বলেছিলেন, ‘আমি মেসির গোল দেখতে চাই। আবার আমার দেশ (সৌদি আরব) ম্যাটা জিতুক।’ সৌদি আরবের সেই নারীর মতোই অনেক মেক্সিকান আছেন মেসির ভক্ত। মেক্সিকো থেকে আসা মারকেজ নামের মেসি ভক্ত বললেন, ‘মেসি গোল করলে আমার ভালো লাগবে। তবে আমি মেক্সিকোরই জয় চাই।’ সেই মেক্সিকানের চাওয়া পূরণ হয়েছে কি না তা এতক্ষণে সবার জানা হয়ে গেছে। জানা হয়ে গেছে নিশ্চয়ই লিওনেল মেসি আর তার আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে টিকে থাকবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরও!  গতকাল সৌদি আরব আর পোল্যান্ডের ম্যাচেও ছিলেন আর্জেন্টাইন দর্শকরা। সেই ম্যাচের ফলও তো এখন আলবেসিলেস্তদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর