শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত চট্টগ্রাম

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

আওয়ামী লীগসহ ১৪-দলের আগামীকালের মহাসমাবেশ ঘিরে চট্টগ্রামে চলছে রাজনৈতিক উৎসব। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম। নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠের আশপাশে লাগানো হয়েছে তিন শতাধিক মাইক। এ ছাড়া মাঠের বাইরের দর্শকদের জন্য স্থাপন করা হচ্ছে এলইডি টিভি। প্রস্তুত করা হয়েছে নৌকার আদলে সুপরিসর মঞ্চ। মঞ্চের আশপাশে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। সার্বিক নিরাপত্তায় থাকবে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ। স্মরণকালের মহাসমাবেশ থেকেই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প। সমাবেশের মূল কর্মযজ্ঞ শেষ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এদিকে সমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারি সুবিধা ব্যবহার করে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেছেন, সমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে না। সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনো সমাবেশ হয় না। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আসবেন। তাঁর নিরাপত্তায় আইন অনুযায়ী এসএসএফ নিয়োজিত থাকে। কোনো এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এলে তিন-চার মাস আগে প্রস্তুতি শুরু হয়। গতকাল সকালে নগরের জামালখানের সিনিয়রস ক্লাবে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ সফল করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এতে পলোগ্রাউন্ড মাঠের সমাবেশ ঘিরে সার্বিক প্রস্তুতির বিষয় তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম, আওয়ামী লীগ উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আমরা আশা করছি চট্টগ্রামের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ঐতিহাসিক জনসভা উপহার দেবেন। ৪ তারিখের জনসভা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, জনসভার মাঠ ছাপিয়ে আশপাশে যতদূর পর্যন্ত মাইক লাগানো সম্ভব, তা লাগানো হচ্ছে।

জানা যায়, রবিবারের সমাবেশকে কেন্দ্র করেই বদলে গেল পুরো চট্টগ্রামের চিত্র। নগরজুড়ে করা সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জায় রাতে ধারণ করে অপরূপ চিত্র। উৎসবের আমেজ পড়েছে নগরের প্রতিটি পথে-প্রান্তরে। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায়ও চলছে প্রচারণা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সংস্কার হচ্ছে নগরের সড়ক। সড়কের দুই পাশে করা হয়েছে সৌন্দর্র্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্নতার কাজ। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, দেয়াল  লিখন, আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণসহ নানাভাবে সাজসজ্জা করা হয়েছে নগরে। চলছে মাইকিং, প্রচার-প্রচারণা। অন্যদিকে সমাবেশকে সুশৃঙ্খল-নিরাপদ রাখতে নি-িদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নগরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। জনসভা মঞ্চ ঘিরে তৈরি করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাবলয়। পলোগ্রাউন্ড মাঠের চারপাশ ও ভিতরে টহল দিচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর