রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আসছে আরও চমক

বছরজুড়ে হবে মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন

গোলাম রাব্বানী

২০২৩ সাল হতে যাচ্ছে মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের বছর। কর্ণফুলী টানেল খুলে দেওয়া হবে ২০২৩ সালে, টানেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। এ বছর স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলবে রেল, উদ্বোধন হবে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটির মতো মেগা প্রকল্পের। এ ছাড়া খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ, ২০২৩ সালে হবে উদ্বোধন। এদিকে ২০২৩ সালের জুনে উন্মুক্ত হবে রংপুর-ঢাকা ফোর লেন মহাসড়ক। ভাগ্য বদলে যাবে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার  মানুষের। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগেই মতিঝিল পর্যন্ত চালু হবে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের মোট ছয়টি মাল্টিলাইন ২০৩০ সালে শেষ করার টার্গেট। তখন ঢাকার আশপাশের চেহারা বদলে যাবে। অন্যদিকে বেশ কিছু প্রকল্প একেবারে বাস্তবায়নের কাছাকাছি চলে আসবে নতুন বছরে। এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজের অগ্রগতি দেখা যাবে চোখে পড়ার মতো। এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু প্রকল্পের কাজও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত গত বছরের সুফল পাওয়া যাবে নতুন বছর ২০২৩-এ। কারণ যোগাযোগ খাতের স্বর্ণময় বছর ছিল ২০২২। বিদায়ী বছরের ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহুল আকাক্সিক্ষত এ সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে খুলেছে দক্ষিণের ২১ জেলার দুয়ার। এ ছাড়া মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যোগাযোগের নতুন এক দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর।

কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন ২০২৩ সালের এপ্রিলে : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ২৮ ডিসেম্বর তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, টানেলের দক্ষিণ টিউব আমরা ওপেন করেছি। আশা করছি এপ্রিল-মে নাগাদ টানেলের বাকি টিউবসহ সম্পূর্ণ কাজ হয়ে যাবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। গত ২৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ সুড়ঙ্গের পূর্তকাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সুড়ঙ্গটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে নগরের পতেঙ্গা প্রান্ত পর্যন্ত। পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারামুখী উত্তর সুড়ঙ্গের কাজ শেষের পথে। এটির কাজ শেষ হলে যান চলাচলের জন্য টানেলটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে ২০২৩ সালের জুনে : ২০২৩ সালের জুন মাসে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলবে রেল, উদ্বোধন হবে ‘পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প’। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথ যাবে যশোরে। এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৩ কিলোমিটার হবে পুরোপুরি এলিভেটেড (উড়াল)। যশোর পর্যন্ত রেলপথের কোথাও থাকবে না কোনো লেভেল ক্রসিং। এতে সময় বাঁচবে, ঘটবে না দুর্ঘটনা। দেশে উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন প্রথম রেলপথ হতে চলেছে এটি। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, সেতুর পাশাপাশি পুরোদমে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজও। এ জন্য ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ ২০২৩ সালের জুন মাসে খুলে দিতে কাজ চলছে।

থার্ড টার্মিনাল চালু হচ্ছে অক্টোবরে : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষের দিকে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে নতুন এই টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের অন্যতম এই মেগা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এটি নির্মাণ শেষ হলে শাহজালালের যাত্রীসেবার মান আমূল বদলে যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বেবিচক সূত্র জানায়, থার্ড টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়বে আড়াই গুণ। ফলে তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে শাহজালালের যাত্রী পারাপারের সক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি ২০ লাখে দাঁড়াবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ ২০২৩ সালে : মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২। ৩ ও ৪ নিয়েও ভাবছে সরকার। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ২০২৩ সালে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হতে পারে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশের খরচ হয়েছিল ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। মহাকাশে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ একটি কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু ২০২৩ সালে : সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকার যানজট নিরসনে এটিই সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এর মাধ্যমে ঢাকার উত্তর-দক্ষিণে যুক্ত হবে সংযোগ সড়কসহ ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এলাকা। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত উড়ালসড়কের ১১ কিলোমিটার অংশ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে চালু হতে পারে। রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে তিন ভাগে। এর মধ্যে মূল উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৩১টি র‌্যাম্প থাকবে উড়ালসড়ক থেকে বিভিন্ন জায়গায় নামার জন্য। প্রথম ধাপে বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত, দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত কাজ হচ্ছে। আর তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণকাজ চলছে। অন্যদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের পাশাপাশি এবার সাভার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’র নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এর ফলে উড়ালপথে সাভার থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার পথ সংযুক্ত হবে। এ পথ যেতে লাগবে ১ ঘণ্টারও কম। রাজধানী ঢাকার যানজট এড়িয়ে উত্তরবঙ্গের সব ধরনের যানবাহন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠতে পারবে। এতে ঢাকার যানজট পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। উত্তর-দক্ষিণের কানেকটিভিটি অনেক বেড়ে যাবে। ‘ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ চালু হবে ২০২৬ সালে।

২০২৩ সালে শেষ হবে বিআরটি প্রকল্পের কাজ, জুনে উদ্বোধন : বহুল আলোচিত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের রাজধানীর উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত উড়ালপথের একাংশ যানবাহন চলাচলের জন্য গত ৭ নভেম্বর খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় এ পথে ঢাকা থেকে যানবাহন যেতে পারবে না। কেবল টঙ্গী থেকে ঢাকামুখী যানবাহন চলবে। এ ছাড়া গাজীপুর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ২০ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষে ২০২৩ সালের জুনে উদ্বোধন করা হবে। ২০১২ সালে শুরু হওয়া বিআরটি প্রকল্পের অধীন ২০১৬ সালে বিশেষ বাস চালুর কথা ছিল। প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর পর্যন্ত জোড়া লাগানো আধুনিক বাস চলবে। এসব বাসের পথ হবে সড়কের মাঝখান দিয়ে। যানজট, সংকেত কিংবা অন্য কোনো কারণে কোথাও বাসের চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে না। ঘণ্টায় ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।

প্রায় শেষ খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ, ২০২৩ সালে উদ্বোধন : প্রায় শেষ হয়েছে খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কাজ। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতুর পুরোটাই এখন দৃশ্যমান। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৯৩ শতাংশ। খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের পুরো রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে মোংলা বন্দর। দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সব কাজ শেষে ২০২৩ সালে উদ্বোধন হবে এই রেলপথ। এদিকে এ পথে রেল চলাচলের আগেই দক্ষিণের ছবিটা পাল্টাতে শুরু করেছে।

২০২৩ সালের জুনেই শেষ হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণকাজ : বহুল প্রত্যাশিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের জুন মাসেই শেষ হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এই রেল সংযোগের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। পর্যটন নগরী কক্সবাজার এ বছরই রেল নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে। তখন চট্টগ্রাম থেকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এর জন্য বিশেষ কোচ কেনা হবে। পর্যটন নগরীর প্রতিনিধিত্ব বোঝাতে সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ হচ্ছে ‘ঝিনুকাকৃতির’ রেলস্টেশন। এটি দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেলপথের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কক্সবাজারের রেলস্টেশনটি। পুরো স্টেশনটি গড়ে উঠছে ২৯ একর জমির ওপর। আইকনিক স্টেশন ভবনটি ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার প্রায় সবই থাকছে স্টেশনটিতে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোর প্রকল্পের আওতায় দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটি স্থাপনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি যথা নিয়মে অগ্রসর হচ্ছে।

জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার লাইনে চলবে ট্রেন : ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন সারা দেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন কক্সবাজারবাসী। তেমনি সারা দেশের মানুষ ট্রেনে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আসার জন্য অপেক্ষায় আছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময় আগামী জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া কক্সবাজারে চলাচলের জন্য ট্যুরিস্ট কোচের আদলে উন্নত মানের কোচ দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এ জন্য নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি কোচ কেনা হবে, যেগুলোর জানালা সুপ্রশস্ত। এতে মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। পুরো প্রকল্পে ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২টি  কালভার্ট রয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। রেললাইনটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে স্টেশন বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

রংপুর-ঢাকা ফোর লেন মহাসড়ক উন্মুক্ত হচ্ছে জুনে : ২০২৩ সালের জুনে উন্মুক্ত হবে রংপুর-ঢাকা ফোর লেন মহাসড়ক। নানা জটিলতা কাটিয়ে গতি ফিরেছে এ প্রকল্পের কাজের। এ মহাসড়ক উন্মুক্ত হলে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে যাবে। ২০২০ সালে এই কাজ শুরু হলেও নানা জটিলতায় হোঁচট খেয়েছিল এ প্রকল্প।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর