রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জ্যোতিষীর চোখে নতুন বছর

মোস্তফা কাজল

২০২২ কেমন কেটেছে? কী করতে পেরেছেন? কী করতে পারেননি? সেসব হিসাব থাকুক। নতুন বছরটি কেমন যাবে? তা দেখেই পরিকল্পনা করে নিতে পারেন এখনই। ফেলে আসা বছরের দুঃখ-দুর্দশা কাটিয়ে যাতে নতুন বছর শান্তিতে থাকা যায় সে চেষ্টাই করেন কমবেশি সবাই। সবাই চান নতুন বছর যেন হয় সুখ ও সমৃদ্ধির। জোতিষীর মতে, ২০২৩ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সফলতার বছর। নতুন বছর ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানোর আন্দোলন ও সংগ্রাম বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের সফল হবে না। এ ছাড়াও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১২, ১১ ও ৭ দলীয় জোটের বর্তমান সরকার পদত্যাগের আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেবে না। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে হরতালসহ নানান কর্মসূচি দিলেও সাধারণ মানুষের আশাব্যঞ্জক সমর্থন পাবে না। বছরের শুরুতে মন্ত্রিসভার রদবদল হবে। নতুন মুখ দেখা যাবে মন্ত্রিসভায়। বছরের বেশির ভাগ সময় দেশে বিরাজ করবে নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন ও সংগ্রাম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে শুরু হবে ভাঙাগড়ার খেলা। থাকবে নতুন নতুন জোট গঠন ও ভাঙনের খেলা। কোনো কোনো নেতার দলবদল বহুল আলোচিত ঘটনা হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে উগ্রপন্থিরা বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সরকার তা সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারবে। চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথে এগোবে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। দাতা সংস্থার সঙ্গে সরকারের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন দিগন্তের পথ দেখাবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক সফলতাও বাড়বে। জোতিষীর মতে, ২০২৩ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সফলতার বছর। বছরের মাঝামাঝি ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ার বাজার। এ বছর অতিবৃষ্টি ও বন্যা হতে পারে। বছরের শুরুতে দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো হতে শুরু করবে। আমদানি বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। জোতিষীরা আরও বলছেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে থাকবে স্থিরতা। বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার চতুর্থ ঢেউ আসবে দেশে। সরকার সফলভাবে মোকাবিলা করবে। জনগণ আগের মতো আতঙ্কিত হবে না। লকডাউনের মতো ঘটনা ঘটবে না। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসির নেতৃত্বে ফুটবল টিমের আগমন ঘটবে।

গতকাল দেশের বিশিষ্ট জোতিষ্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। তারা হলেন- জোতিষী ড. কে সি পাল ও জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতি। ড. কে সি পাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনের দাবিতে নানা কর্মসূচি দেবে। হরতাল ও অবরোধ দেবে। কিন্তু কোনো কর্মসূচি বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়বে। ভারতের ব্যবসায়ীরা এ দেশে বাণিজ্যের হাত বাড়াবেন। যৌথ মালিকানায় দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। বেকার সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।

জোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতি বলেন, সরকার হটানোর বিএনপির কর্মসূচি সফল হবে না। বছরের বিভিন্ন সময়ে হরতাল ও গণআন্দোলনের কোনো সফলতা আসবে না। সহিংস রাজনৈতিক সংঘাত ঘটতে পারে। শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশে আরও প্রসারতা লাভ করবে। বেকারদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি হবে। ২০২৩ সালে দেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে না। বছরের মাঝামাঝি মন্ত্রিসভার রদবদল হবে। নতুন নতুন মুখ দেখা যাবে। ২০২৪ সালের শুরুতে দেশে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা আসবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে। এ ছাড়া দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন নতুন করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে। ক্রীড়াক্ষেত্রে সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বে বাংলাদেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন নতুন সম্মান বয়ে আনবে।  রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের আলোর পথ দেখবে। সরকারি কর্মকতা ও কর্মচারীদের বেতন বাড়াবে সরকার। দেশের নিষিদ্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করবে। এ নিয়ে সহিংস ঘটনার জন্ম দিতে পারে। এ ছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে। বছরের মাঝামঝি আর্জেন্টিনার ফুটবল টিম বাংলাদেশে আসতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর