শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বন্ধ হলো পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

কয়লার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় গতকাল বেলা ১২টায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং কয়েক গুণ বেশি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার পর এই প্রথম উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হলো। কয়লা সংকটে ২৫ মে কেন্দ্রটির একটি ইউনিট বন্ধ হয়েছিল আর দ্বিতীয় ইউনিটও সোমবার বন্ধ হয়ে গেল। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সমগ্র বরিশাল ও খুলনা এবং ঢাকার কিছু অংশের জন্য বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য উৎস ছিল। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, শাহ আবদুল হাসিব বলেন, কয়লা সংকটে কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে ডলার সংকটের কারণে কয়লার অভাবে এই অবস্থা হয়েছে। তিনি জানান, কয়লা আনার জন্য ইতোমধ্যেই এলসি খোলা হয়েছে। আশা করছি এ মাসের শেষের দিকে কয়লাবাহী প্রথম জাহাজ এসে পৌঁছাবে। তখন আবার চালু হবে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১৩ হাজার থেকে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে প্রায় ১২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ৩ হাজার ৪৪০ মেগাওয়াটের বিপরীতে গড়ে ২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৭০০ থেকে ১ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে। এতে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। জানা যায় যে, বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালনা হতো। পরে দুই প্রতিষ্ঠানের সমান মালিকানায় বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামে আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। বিগত দিনে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ছয় মাস বাকিতে কয়লা দিয়েছে সিএমসি। পরে আরও তিন মাসের বকেয়াসহ নয় মাসে বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত ৩৯ কোটি ডলার। এই বকেয়া ডলার সংকটের কারণে পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই, চীন থেকে কয়লা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডলার সংকট মেটাতে কয়েক দফা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেও সমাধানে আসতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

সর্বশেষ খবর