মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ে অস্বস্তি জনজীবনে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে দাবদাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অস্বস্তিতে রয়েছে জনজীবন। দিনের সময়ে অফিস আদালতের ব্যাঘাত ঘটছে নিয়মিত। এ ছাড়াও ইলেকট্রনিক পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। গত রবিবার চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট, উৎপাদন হয় ১ হাজার ৩৯ মেগাওয়াট। ফলে চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন হওয়ার কারণে এদিন লোডশেডিং করা হয় ৪৬১ মেগাওয়াট। কবে নাগাদ বিদ্যুতের এ পরিস্থিতি ঠিক হবে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, কখন লোডশেডিং হবে, তা আমি বলতে পারছি না। কারণ সবকিছু কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই পরিস্থিতি প্রতিনিয়তই বদল হচ্ছে। কখন কী হবে, বলা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয়ভাবে যে নির্দেশনা আসছে আমরা সেভাবেই কাজ করছি। মূলত জ্বালানি সংকটের কারণেই পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে যে বিদ্যুৎ পাই, তাই বণ্টন করে থাকি।

জানা গেছে, কাপ্তাই হাইড্রোলিক পাওয়ার প্লান্টের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে ২৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু একটি ইউনিট থেকে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটে ৩৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও গ্যাস স্বল্পতার কারণে উৎপাদন হচ্ছে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। শিকলবাহায় তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে এখন মেইনটেনেন্সের কাজ চলছে। অপর ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদন হয়েছে ২২১ মেগাওয়াট এবং ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। তবে রাউজানের অপর ২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কেন্দ্রের বিদ্যুৎ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। পতেঙ্গার ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন কেন্দ্রে ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে ৪৪ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে।

দোহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টে ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাওয়া গেছে ৫১ মেগাওয়াট, হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টে ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাওয়া যাচ্ছে ৬১ মেগাওয়াট, রিজেন্টের ২৪ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৯ মেগাওয়াট, ইউনাইটেডের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতায় উৎপাদন হয়েছে ২৩ মেগাওয়াট, জুলধা ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হয়েছে ২৩২ মেগাওয়াট, আরপিসিএলের ২৬ দশমিক ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হয়েছে ১৭ মেগাওয়াট, বারাকা ৫০ মেগাওয়াটে উৎপাদন হয়েছে ৪৪ মেগাওয়াট, শিকলবাহা বারাকার ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হয়েছে ৬৯ মেগাওয়াট, বারাকা কর্ণফুলী ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হয়েছে ৭৪ মেগাওয়াট, ইউনাইটেডের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হয়েছে ২৭৪ মেগাওয়াট, এনলিমা এনার্জি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ১১৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও জ্বালানি স্বল্পতার কারণে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৪ মেগাওয়াট এবং মিরসরাই ১৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর