সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললে সরকার বিরক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললে সরকার বিরক্ত

সুলতানা কামাল

মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, মানবাধিকারের কথা তুললে সরকার বিরক্ত হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ কখনো গ্রহণ করেনি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩ : এমএসএফর পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক ছিল মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ যথাযথ নয় বলে অভিযোগ করে এমএসএফ সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, সরকার মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য কখনোই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় রাষ্ট্র খুব বেশি মনোযোগী হয়নি। যখন আমরা মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলেছি সরকার কখনো কখনো অনেক বেশি রক্ষণাত্মক, কখনো আবার আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলেছে। যারাই মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছে সরকার তাদের সঙ্গে একটি বৈরীভাব গড়ে তুলেছে। মানবাধিকার রক্ষায় কোনো দায়দায়িত্ব নেই এমন মনোভাব দেখিয়েছে সরকার। মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললে অসন্তোষ ও বিরক্তিভাব প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেই বেশি মনোযোগী। সমাজে মানবাধিকারের নীতি বা বোধ জাগাতে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো কর্মসূচি তাদের নেই। মানুষের মনমানসিকতার উন্নয়ন বিষয়ে তাদের কোনো দায়বোধও নেই। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হয়নি উল্লেখ করে বলেন, মানবাধিকার কমিশনের অন্তর্নিহিত অনেক দুর্বলতা আছে। মানবাধিকার ইস্যুতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও বছরের পর বছর ধরে অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক যে ব্যবস্থাপনা, তাদের যে জনবল, তাদের যে তদন্ত করার ক্ষমতা সেগুলোকে খর্ব করা হয়েছে। কমিশনের কাজগুলো প্যারিস প্রিন্সিপাল নীতির আলোকে হওয়ার কথা থাকলেও এগুলো অনুসরণ করা হয়নি। এসব কারণে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী ও স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন তৈরি করতে পারিনি বলে উল্লেখ করেন সুলতানা কামাল।

সর্বশেষ খবর