গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই স্বাভাবিক। আমি আইনের ভিতর থেকে যা যা দরকার সব করব। দক্ষতা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আস্থা রেখে একটা দায়িত্ব দিয়েছেন, এ দায়িত্ব পালনে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি যদি কোনো অপরাধমূলক কাজ করি, সেটা অবশ্যই আপনারা হিসাবে নেবেন। কিন্তু আমি বারবার অপতথ্যের শিকার হই, সেটা যাতে না হয় সে বিষয়ে অনুরোধ রাখব। আমি নাসিরনগর ও হেফাজতে ইসলাম নিয়ে অপতথ্যের শিকার হয়েছি। মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিষয়ে বলেন, আমার পরিকল্পনা খুব সিম্পল। দক্ষতা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে চাই আমি। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ, এটাই আমার পরিকল্পনা। সাংবাদিকরা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরলে সেগুলো দূর করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন বলে উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যেখানে হাত দেওয়া দরকার, সব জায়গায় আমি হাত দেওয়ার চেষ্টা করব আমার সাধ্যানুযায়ী। রাজউকে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না-এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে আমরা নজর দেব

 সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন। ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করব। পরিবেশের দূষণ হয়, এমন কাজের সঙ্গে আমার মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করতে চাই না। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে, প্রয়োজনবোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি অনিয়মগুলো দূর করা সম্ভব হয়, সেটা আমরা করব। গ্রাম ধ্বংস করে নগরায়ণ করা সেটি কতটা চ্যালেঞ্জ- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অচিরেই স্থানীয় সরকার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়কে নিয়ে আমরা বসব। আগামী বা পরের সপ্তাহে আমরা একটা সভা করব। গ্রামে এখন অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি করার নিয়ম নেই। এ আইনের যাতে প্রয়োজনীয় বিধান করা হয়, সেটা আমরা দেখব। প্রতি বছর আমরা ১ শতাংশ হেক্টর কৃষিজমি হারাই। এটা আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর কোনো পরিস্থিতি নয়। অপরিকল্পিত নগরায়ণ অথবা গ্রামীণ আবাসন দুটিই বন্ধ করতে হবে।