আগামী নভেম্বরের নির্বাচনের আগে ফ্লোরিডার সভা থেকে খ্রিস্টানদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এবারই শুধু ভোটটা দিন। তাহলে আমি সবকিছু এমনভাবে ঠিক করে দেব যে, কাউকে আর চার বছর পরে গিয়ে কোনো দিন আমাকে ভোট দিতে হবে না।’ সূত্র : এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান ও হিন্দুস্তান টাইমস।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমার প্রিয় খ্রিস্টানরা, এবারই শুধু আপনাদের বাইরে বেরিয়ে ভোট দিতে হবে। এরপর আপনাদের আর ভোট দিতে হবে না। আমি আপনাদের ভালোবাসি খ্রিস্টানরা।’ এ সময় কমলাকে আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই নভেম্বরে কমলা হ্যারিসের উদারপন্থি চরমপন্থাকে নাকচ করে দেবেন আমেরিকার মানুষ। ভোটে ধরাশায়ী হয়ে যাবেন কমলা হ্যারিসরা।’ যদিও ট্রাম্পের এ মন্তব্য নিয়ে কমলা হ্যারিস আপাতত কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্টের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত কোনো কর্মকর্তাও। তবে সার্বিকভাবে ট্রাম্প যে ভাষণ দিয়েছেন, সেটাকে উদ্ভট এবং পশ্চাৎমুখী বলে উল্লেখ করেছেন কমলার প্রচারের মুখপাত্র জেসন সিঙ্গার। এদিকে শনিবার ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী কমলা হ্যারিস ম্যাসাচুসেটসে দলের তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এ নির্বাচনি দৌড়ে আমরা আন্ডারডগ, তবে মনে রাখতে হবে এটা জনতার শক্তিতে পরিচালিত প্রচারাভিযান।’ ১৪ লাখ ডলার নির্বাচনি তহবিলের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার অতীত নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু বন্য মিথ্যা ছড়াচ্ছেন। আমাকে নিয়ে তিনি এবং তার রানিংমেট যে কথাগুলো বলছেন, তা সোজা কথায় অদ্ভুত।’ ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথাবার্তাকে ‘অদ্ভুত’ তকমা দিয়ে নির্বাচনি প্রচার কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি। ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক এ প্রসিকিউটর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্যও চ্যালেঞ্চ ছুড়ে দেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বও জো বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত টেলিভিশন বিতর্কটিতে ট্রাম্প অংশ নেবেন না এমনটা জানানোর পরই কমলা এ চ্যালেঞ্জ জানালেন। কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন। কেননা, আমাদের অনেক কথা বলার আছে।’ অন্যদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বলেন ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পের বিকাশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, যেটিকে এর আগে তিনি ‘ক্যালেঙ্কারি’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। বিটকয়েন কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘এটা শত বছরের পুরনো ইস্পাত শিল্প, তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের কেবল শৈশব চলছে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়, তবে আমি চাই তা যুক্তরাষ্ট্রেই খনন, উত্তোলন ও তৈরি হোক। আমি চাই, যুক্তরাষ্ট্র হবে এ গ্রহের ক্রিপ্টো ক্যাপিটাল।’