দেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে দেশে ফিরলে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলেল উষ্ণ অভিবাদন জানান ছাত্র-জনতা। এরপর তিনি সেখান থেকে নিজ বাসভবন গুলশানে পৌঁছলে তাঁকে হর্ষধ্বনিতে বরণ করেন সাধারণ মানুষ। গতকাল দুপুর ২টা ১১ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। সব প্রক্রিয়া শেষ করে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ড. ইউনূসের সঙ্গে বের হয়ে যান। এর আগে ড. ইউনূস দেশে পৌঁছানোর খবর পেয়ে তাঁকে অভিবাদন জানাতে সকাল থেকে বিমানবন্দর ও তাঁর সামনের সড়কে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। সরেজমিন দেখা যায়, বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সামনে ড. ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন অসংখ্য মানুষ। কেউ এসেছেন পতাকা-ব্যানার নিয়ে, কেউবা ফেস্টুন, কারও হাতে ফুল। কেউ হাততালি দিয়ে যাচ্ছেন। শুভেচ্ছা-স্বাগতম স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। ড. ইউনূসকে বরণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন ইউনূস সেন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার লোকজন। বিমানবন্দরের বাইরে অনেকেই হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, ফুল নিয়ে ড. ইউনূসকে বরণ করতে অপেক্ষা করেন। ড. ইউনূসকে যারা স্বাগত জানাতে গেছেন, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তিনি তাঁদের দিকে হাতে ইশারা দেন। এ সময় উপস্থিত লোকজনও ‘ড. ইউনূসের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘ইউনূস স্যার এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গুলশানে নিজ বাসভবনে যান ড. ইউনূস। তাঁর বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতা হর্ষধ্বনি দিতে থাকেন। আশপাশের ভবনের ওপর থেকে তাঁকে হাতে ঈশারা করে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ড. ইউনূসও তাদের স্যালুট দেন। বাসার সামনে যেসব জনতা অভিনন্দন জানাতে আসেন তাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের খুব একটা ব্যবধান ছিল না। এ সময় কেউ কেউ মোবাইলফোনে ছবি তোলেন, কেউ সেলফি তুলে মুহূর্তটি স্মরণীয় করে করে রাখেন। কেউ কেউ কড়তালি দিয়ে স্বাগত জানান। তবে এ সময় বাসার সামনে সশস্ত্র প্রহরা ছিল।