মন্ত্রিপরিষদ, প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র বাহিনী, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন ও সেতু, খাদ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ভূমি, বস্ত্র ও পাট, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলপথ, জনপ্রশাসন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নৌ পরিবহন, পানিসম্পদ, মহিলা ও শিশু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, তথ্য ও সম্প্রচার, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, মুক্তিযুদ্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক দিন পরই উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ দপ্তর বণ্টন করেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর হাতে ২৭টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব রেখেছেন। বাকি ১৩ জন উপদেষ্টাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব দেন। যে তিনজন উপদেষ্টা শপথ নেননি তাদের পরবর্তীতে দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে এ দায়িত্ব বণ্টন করা হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রাখা দপ্তরগুলো হলো- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টাদের মাঝে যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব বণ্টন করা হয় এর মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ড. আসিফ নজরুল। আদিলুর রহমান খানকে শিল্প মন্ত্রণালয়, এ এফ হাসান আরিফকে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে শারমিন মুরশিদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নূরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা মো. নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ নেন। সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় ও নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক-ই-আজম ঢাকার বাইরে থাকায় তারা উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেননি। এদিকে গতকালই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছুটির দিন থাকলেও শপথ গ্রহণের পরের দিনই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি হয়। প্রথম বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অংশ নেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।